বাংলা হান্ট ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের রাতলাম জেলায় স্ত্রী’র গণধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ফিল্মি কায়দায় অপরাধীকে “শাস্তি” দিলেন স্বামী। কয়েকদিন আগে রাতলাম জেলার রাত্তাগড়খেদা গ্রামের এক কৃষক লাল সিং তাঁর খামারে একটি টিউবওয়েল চালু করতে গেলে প্রবল বিস্ফোরণে উড়ে যান।
ঘটনাটির তদন্তে নেমে পুলিশ যে তথ্য জানতে পারে তাতে অবাক হয়ে যান সকলেই! স্ত্রী’র গণধর্ষণের অপরাধীদের শাস্তি দিতেই এমন কান্ড করেছেন বলে জানান সুরেশ নামের এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ছ’মাস আগেও তিনি এই কান্ড ঘটাতে যান বলে জানা গিয়েছে। তখন, বিস্ফোরকের অভাবে তিনি সফল না হলেও তার পর সমস্ত কিছু ঠিক করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরু করেন সুরেশ।
এদিকে, এই ঘটনায় সুরেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, গণধর্ষণে অভিযুক্ত আরও দু’জন, প্রাক্তন সরপঞ্চ ভাওয়ারলাল ও দীনেশ নামের একজন গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়াও, সুরেশকে এই কাজে যিনি বিস্ফোরক দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কিছুদিন আগেই গ্রামের এক কৃষক লাল সিং একটি টিউবওয়েল চালু করতে গিয়ে হঠাৎই প্রবল বিস্ফোরণের মুখে পড়েন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটিকে খুন বলেই মনে করে। তারপরেই জানা যায় যে, গ্রামেরই এক ব্যক্তি ওই ঘটনার দিন থেকে পলাতক রয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে গতিবিধি জানতে পারে পুলিশ।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে ভেঙে পড়েন তিনি। তারপরেই তিনি ঘটনাটি স্বীকার করে নেন। পাশাপাশি, তিনি জানান যে, টিউবওয়েলের মোটরের সাথে থাকা বিস্ফোরকের ফলে সুইচে হাত দিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর স্ত্রী’র গণধর্ষণে অভিযুক্তদের “শাস্তি” দিতেই তিনি এই কাজ করেছেন বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক বছর আগে অভিযুক্ত তিনজন গণধর্ষণ করেন সুরেশের স্ত্রীকে। তারপর থেকেই দোষীদের শাস্তি দিতে উদ্যত হন তিনি। আগেও সরপঞ্চকে খুনের পরিকল্পনা করলেও তাতে সফল হননি তিনি। তবে, গত ৪ জানুয়ারি ভোর তিনটের সময় লাল সিংয়ের খামারে পৌঁছে কোদাল দিয়ে মাটি খনন করে স্ক্রু ড্রাইভার এবং রড দিয়ে নলকূপের স্টার্টারের সাথে ডেটোনেটর সংযুক্ত করেন সুরেশ। তারপর, সকালে, লাল সিং স্টার্টারের বোতাম টিপলে, তৎক্ষণাৎ তাঁর শরীর বিস্ফোরণে উড়ে যায়।