বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ নিজেই করোনার বিরুদ্ধে করা নিজের সংগ্রামের কথা তুলে ধরলেন মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। করোনার ছায়া বাংলার মাটিতে পড়ার পর থেকেই তিনি নবান্নে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বৈঠক করেছেন। সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন। এমনকি রাস্তায় নেমে সচেতনতা বাড়িয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য রাস্তায় দাগ কেটে দিয়েছেন। গাড়িতে বসে বসে নিজেই মাইকিং করেছেন। আর সেইজন্য নিজেকে করোনা যোদ্ধা বললেন তিনি। আজ নবান্নের বৈঠকে তিনি এমটাই দাবি করেন।
আজ নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবও। তিনিও করোনার শুরু থেকে নিয়িমিত মুখ্যমন্ত্রীর সাথে নবান্নে এসেছেন। আর সেই জন্য তিনি নিজেকে করোনা যোদ্ধা বলার সাথে সাথে মুখ্যসচিবেরও নাম নেন। তবে শুধু নিজেকে আর মুখ্যসচিবকেই না, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা দফতরের সমস্ত সচিবদেরও তিনি এই উপাধি দেন।
আরেকদিকে আজ তিনি রাজ্যে ৯০% দুর্নীতি কমিয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সিপিএম (CPIM) আমলে ১০০% দুর্নীতি ছিল, আমরা তা কমিয়ে ১০% এ নামিয়েছি। বুধবার কলকাতায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সভায় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, রাজ্যে দুর্নীতি বাম আমল থেকেই চলে আসছে, দুর্নীতির সিপিএম-এরই দান। তবে এতবছর দুর্নীতি করার পর অনেকেরই সেই অভ্যাস বদলায় নি। তিনি জানান, তৃণমূল আমরা যারা দুর্নীতি করেছেম তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এমনকি আজকের সভায় তিনি একাংশের সংবাদমাধ্যমের নাম ধরেও সমালোচনা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দু একটা ছোট ঘটনাকে ইস্যু করে বড়সড় রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কোনও কোনও দল। তিনি জানান, বাম আমলে পঞ্চায়েতে ১০০ শতাংশ চুরি হত। আমরা ১০০ শতাংশ চোর উৎখাত করতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু ৯০ শতাংশ চোর উৎখাত করেছি। আমরা নিজদের দল, নিজের দলের লোককেও ছেড়ে কথা বলিনা। আমি কড়া নির্দেশ দিয়েছি যে মানুষের টাকা যেন কেউ মেরে না খায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী স্বীকার করে বলেন যে, কোথাও কোথাও এখনো কিছু দুর্নীতিবাজ রয়েছে। তবে আমি পুলিশকে তাদের কড়া হাতে দমন করার কথা জানিয়েছি। অনেকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। এখন যেটুকু দুর্নীতি আছে, ধীরে ধীরে সেটাও কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী ফলাও করে বলেন, আমাদের রাজ্যে ১০ শতাংশ দুর্নীতি আর অন্য রাজ্যে ৯০ শতাংশ দুর্নীতি আছে।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘৩৪ বছরে অভ্যাস কি এত কম সময়ে বদলায়? বাম আমল থেকেই দুর্নীতি চলছে। ওদের এই ব্যবস্থা নীচুতলা আর সরকারি দফতরে চালু আছে। আর এই দুর্নীতি সামলানোর জন্য এখনো আমাকে অনেক লড়াই করতে হবে।
আপনাদের জানিয়ে দিই, আমফান নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দুর্নীতির খবর পাওয়া গেছে। আর প্রতিটি দুর্নীতিতেই নাম উঠেছে তৃণমূল নেতা, নেত্রীদের। এখনো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণের থাকা পায়নি, কিন্তু সেখানে তৃণমূল নেতারা নিজে এবং নিজের পরিবারের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে নিয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়া নাম করে কাটমানি খেয়েছেন শাসক দলের নেতা কর্মীরা।