বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজই শেষ ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ। শনিবার আবারও আসানসোলের আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত। তাঁর বেআইনি সম্পত্তির হদিশ পেতে আরও জেরার প্রয়োজন। আদালতে এমনই দাবি জানাতে পারে সিবিআই। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কেষ্টকে আবারও হেফাজতে চাইতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অন্তত আরও দিন চারেক হেফাজতে নিতে পারে তারা। তবে নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় অনুব্রত দাবি করেন, ‘কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করেছি। আমার কোনও বেনামী সম্পত্তি নেই।’ এদিন কেষ্টর আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই আসানসোলের উদ্দেশ্যে অনুব্রতকে নিয়ে রওনা হয়েছে সিবিআই।
সিবিআই দাবি করছে, এখনও পর্যন্ত নামে-বেনামে অনুব্রত মণ্ডলের ৪৫টি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইস মিলও। তার মধ্যে বোলপুরে তাঁর বাড়ির কাছেই, ভোলে ব্যোম রাইসমিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, এই রাইসমিলের মালিক অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের দাবি, বছর পাঁচেক আগে এই রাইসমিল ৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয় অনুব্রত। এই মিলেই শুক্রবার হানা দেয় সিবিআই। প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গরু পাচারের টাকার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও যোগ আছে কি না, তাঁর এই বিপুল সম্পত্তির টাকার উৎস কী? এ সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা আধিকারিকরা।
সিবিআই-র দাবি, রাইস মিলে অনুব্রতর মেয়ে এবং স্ত্রী-রও অংশীদারিত্ব রয়েছে। প্রায়ই মিলে আসতেন সুকন্যা। শুক্রবার প্রথমে ঢুকতে বাধা পেলেও পরে মিলে প্রবেশ করে সিবিআই। ভোলে ব্যোম রাইস মিলে ৫টি দামি গাড়ি মিলেছে। তার মধ্যে একটি গাড়িতে আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকারও লাগানো। এসব গাড়ি কি অনুব্রত মণ্ডলের? তাই এখন তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা গোয়েন্দারা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও দাবি করে, বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদেও নিয়ন্ত্রণ হত গরু পাচার। অনুব্রত মন্ডলের হয়ে সাহায্য করতো সায়গল হোসেন। অপরদিকে বেআইনি ভাবে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি টেট পাশ না করেই প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। যদিও মেয়ে সুকন্যা নামে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমার মেয়ে সব পাশ করেছে। সার্টিফিকেটও আছে।’