বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দুদিন কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হারের স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা। রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ভুবনেশ্বর কুমাররা অসহায় ভাবে ইংল্যান্ডের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন সেমিফাইনালে। ফলে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভারতীয় সমর্থকরা এবং আইসিসি ট্রফিতে ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনেকের মনে আর কোন আশা নেই।
অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার বর্তমানে এই দলের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন। সুনীল গাভাস্কার থেকে শুরু করে কপিল দেব সকলেই ভারতীয় দলের যে যে ভুল ভ্রান্তি গুলো হয়েছে সেগুলো সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। শুধুমাত্র ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাই নন, পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসির হুসেন, প্রত্যেকেই ভারতীয় দলের যে ভুল ত্রুটি গুলি ছিল সেগুলিকে নিজের মতো করে প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করেছেন।
এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেওবাগ। তিনি অবশ্য চাঁচাছোলা ভাবে নিজের পরিচিত আগ্রাসি ঢঙয়ে ভারতীয় দলের সমালোচনা করেছেন। কোন কোন প্লেয়ারদের ওপর তিনি অসন্তুষ্ট সেই নিয়ে কারোর নাম প্রকাশ্যে না আনলেও তিনি বলে দিয়েছেন আসন্ন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি বর্তমান ভারতীয় দলের বেশ কয়েকটি মুখকে দেখতে চাইবেন না।
একটি সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি আর দলের মনোভাব নিয়ে মন্তব্য করে সময় নষ্ট করতে চাই না আমি যেটা চাই সেটা হল যে কিছু ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা। আমি পরবর্তী বিশ্বকাপে এই দলের কয়েকজনের মুখও দেখতে চাই না। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমনটা হয়েছিল অর্থাৎ বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিজেদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং তার বদলে তরুণ ক্রিকেটাররা ওই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেমে অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছিল ঠিক তেমনটাই এবারও হোক আমি চাই। সেই তরুণ ব্রিগেডের ওপর কারোর কোনো আশা থাকবে না কিন্তু আমরা ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে পারবো।”
এই প্রক্রিয়াটি এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত বলে সেওবাগ মনে করছেন। তিনি বলেছেন, “আপনি যদি কাজটা এখন থেকেই শুরু করেন তাহলে দু বছরের মধ্যে দলটা দাঁড়িয়ে যাবে। আমি অফফর্মে থাকা কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারদের আর সেই বিশ্বকাপে দেখতে চাই না। আমি চাই নির্বাচকরা এবার কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিন। কিন্তু ব্যাপার হল নির্বাচকমণ্ডলী ও দ্রুতই পরিবর্তন হবে নতুন নির্বাচক মন্ডলীর মধ্যে সেই সাহস থাকবে কিনা তা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যায়।”