বাংলাহান্ট ডেস্ক : জাপানের (Japan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (PM) শিনজো আবেকে (Shinzo Abe) গুলির করার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তি। জাপান পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম তেৎসুয়া ইয়ামাগামি। জানা যাচ্ছে সে নারা শহরের বাসিন্দা। ৪১ বছর বয়সী তেৎসুয়া জাপানের মারিটাইম আত্মরক্ষা বাহিনীর প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। ওই বাহিনীতে সেই ২০১৫ সাল পর্যন্ত, ৩ বছর ধরে কর্মরত ছিল। শিনজো আবের বক্তব্য রাখার সময় তাঁর ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিল ইয়ামাগামি। মাত্র ১০ ফুট দূর থেকে সে আবেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন আবে। সঙ্গেসঙ্গেই ইয়ামাগামিকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। জানা যাচ্ছে, একটি ডবল ব্যারেল শটগান থেকে পরপর দুবার গুলি করেন তেৎসুয়া। প্রথমটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও দ্বিতীয়টি গিয়ে লাগে আবের পিঠে। অদ্ভুত বিষয়, ঘটনার পর পালাবার কোনও রকম চেষ্টা করেনি ওই ব্যক্তি। পুলিশের অনুমান, তেৎসুয়ার বন্দুকটি তার নিজেরই বানানো। তাকে আপাতত নারা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হচ্ছে। পুলিশকে সে বলে শিনজোকে হত্যা করার বিশেষ কোনও কারণ ছিল না। শুধুমাত্র শিনজোর নীতি তার পছন্দ না হওয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে।
প্রসঙ্গত, আজ সকালে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। পশ্চিম জাপানের নারা শহরে সকাল ১১.৩০ নাগাদ প্রচার কর্মসূচিতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় হঠাৎই শোনা যায় গুলির শব্দ। পরক্ষণেই রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন আবে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বেশ কয়েক ঘন্টার লড়াই-এর পর মারা যান শিনজো আবে।