বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত এক মাস ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকর (Shraddha Walkar Murder Case) হত্যা মামলা। ইতিমধ্যে জল গড়িয়েছে বহুদূর। গ্রেফতার হয়েছে শ্রদ্ধার লিভ ইন পার্টনার তথা অভিযুক্ত আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকারও করেছে। সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এর পরই। আফতাব সরাসরি পুলিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে, পারলে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করার অস্ত্র এবং বাকি দেহাংশ খুঁজে বের করুক। আর এই জায়গাতে এসেই হিমসিম খাচ্ছেন দুঁদে পুলিস আধিকারিকরাও।
পুলিস এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার মাথা এবং দেহ টুকরো করার অস্ত্র খুঁজে পায়নি। তদন্তে নেমে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্য নেন তদন্তকারীরা। শ্রদ্ধা এবং আফতাবের মোবাইল ফোন টাওয়ার লোকেশন, কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয় আফতাবের। খুনের আগে ১৩ এবং ১৪ মে দিল্লির ছত্তরপুরেই বদ্রি নামে এক পরিচিতের বাড়িতে ছিল দু’জনে। ১৪ মে রাতে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। যার জেরে রাত দুটোর সময় বদ্রি তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপরে একটি গেস্ট হাউসে গিয়ে ওঠেন দুজন। দিল্লিতে তখনও তাঁদের কোনও থাকার যায়গা ছিল না। ১৫ এবং ১৬ মে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকা পর ১৭ মে ছত্তরপুরের এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া নেন দু’জনে। এর পরের দিনই খুন হয়ে যান শ্রদ্ধা।
আফতাব তদন্তকারীদের জানায় ১৭ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে শ্রদ্ধা গুরুগ্রাম যান। শ্রদ্ধার ফোনের কল রেকর্ড এবং টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিসও এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। সেদিন আর বাড়ি ফেরেননি শ্রদ্ধা। ১৮ মে বেলার দিকে শ্রদ্ধা ছত্তরপুরের ফ্ল্যাটে ফিরতেই এই নিয়ে আফতাবের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। এই অশান্তির জেরেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব।
১৯ মে মুম্বই যাওয়ার কথা ছিল আফতাবের। তবে, শ্রদ্ধা খুনের পর মুব্বই-যাত্রা বাতিল করে সে। ছুরি-কাঁচি কিনে আনে দেহ টুকরো করার জন্য। পুলিস জানতে পারে, প্রথমে শ্রদ্ধার অন্ত্রের অংশ কেটে ফেলে সে। এরপর গোড়ালি, কবজি টুকরো করে। কিছু দেহাংশ আলমারিতেও রেখেছিল আফতাব। আলমারিতে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিস। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, খুনের পর একদিন বাড়িতে জল না থাকায়, বাইরে থেকে প্রচুর জলও কেনে আফতাব।