‘ভগবত গীতা পড়ার জন্য রবিবার ছুটি চাই’, ইঞ্জিনিয়ারের চিঠি দেখে চক্ষুচড়কগাছ কর্তৃপক্ষের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রোজকার একঘেয়ে সিডিউল থেকে একটু বেরোনোর জন্য মাঝে মধ্যে একটু ছুটির প্রয়োজন হয়। ছোটবেলায় এই ছুটি চাওয়ার ধরনটা কিছুটা আলাদাই ছিল। অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের দেখা যায় নানারকম শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিতে। কখনও পেট ব্যাথা, আবার কখনও শরীর খারাপ।

তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেও মানুষের ছুটি চাওয়ার ধরনে সামান্য বদল এলেও, ইচ্ছাটা কিন্তু একই থাকে। রোজকার সিডিউল থেকে বেরিয়ে নিজের জন্য কিছু করা। তবে মধ্যপ্রদেশের এক কর্মরত ব্যক্তির ছুটি চাওয়ার ধরণ দেখে তাজ্জব বনে গেল কর্তৃপক্ষ।

barandbench 2020 11 52d37dff 9869 4467 bcbd 4e0b7878bae4 bhagwadgita 02

মধ্যপ্রদেশের আগর মালওয়া জেলার মনরেগা প্রকল্পে সাব ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রাজকুমার যাদব কাজের থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য এক অভিনব কারণ দেখালেন। কাজের মাঝে ছুটি নেওয়াটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে যে কারণের জন্য তিনি ছুটি চাইলেন, তা দেখে অবাক হয়ে গেল কর্তৃপক্ষ। আর সেই ছুটি চাওয়ার চিঠি বর্তমানে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়।

কোম্পানির সিইও-কে চিঠিতে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব লিখেছেন, ‘আমি স্বপ্নে দেখেছি মিম-এর প্রধান তথা সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি আমার আগের জন্মের বন্ধু ”নকুল” ছিলেন। আরএসএস প্রধান শকুনি মামা। তাই আমি নিজের মনে আধ্যাত্মিক ধ্যানধারণা জাগ্রত করাতে চাইছি। তাই অহংবোধ ভাঙতে সপ্তাহে একদিন করে ভগবত গীতা পড়ব এবং দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভিক্ষা করব। তাই ওই দিন অর্থাৎ প্রতি রবিবার ছুটি চাইছি’।

ইঞ্জিনিয়ারের থেকে এমন চিঠি পেয়ে তো কর্তৃপক্ষের চক্ষুচড়ক গাছ। তৎক্ষণাৎ সেই চিঠি ছিঁড়ে ফেলে তাঁকে কাজে আসার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবী, কঠোর পরিশ্রম করলেই, নিজের অহংবোধ ভেঙে যাবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর