বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Elections)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে নানান রাজনৈতিক দল। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Chief Electoral Officer) নাম ঘোষণা করা হল। এতদিন ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন দিব্যেন্দু দাস। এবার তাঁকে সরিয়ে রাজ্যের স্থায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক করা হল মনোজ কুমার আগরওয়ালকে (IAS Manoj Kumar Agarwal)। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
বাংলার নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Chief Electoral Officer) আসল পরিচয় জানেন?
উনিশ ও চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ছিলেন আরিজ আফতাব। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেছেন তিনি। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন দিব্যেন্দু। নবান্ন কোনও নাম না পাঠানোয় আরিজ আফতাবের অবসরের পর তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
এবার ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের স্থায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Chief Electoral Officer) হিসেবে মনোজ কুমার আগরওয়ালকে নিযুক্ত করা হল। ১৯৯০ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার এর আগে খাদ্য দফতর, প্রশাসনিক কর্মীবর্গ দফতর, দমকল ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব পদে ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ‘বাবাকে হারানোর দিন থেকে জীবনটা একটা সংগ্রাম’! অক্সফোর্ড-বিতর্কের মাঝেই লিখলেন মমতা
বর্তমানে সিভিল ডিফেন্স দফতর, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং বন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মনোজ। এবার তাঁকেই রাজ্যের স্থায়ী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করা হল। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2026) সময়ও দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
এদিকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ভুয়ো ভোটার, একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার কার্ড ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারই এই নিয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Chief Electoral Officer) দফতরে এই নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের তরফ থেকেই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত এবং সক্রিয় ভূমিকা পালনের আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর।