থানার আইসির বিরুদ্ধে মাদক মজুত করার অভিযোগ! বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল বিধায়কের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘রক্ষকই যখন ভক্ষক।’ মাদক দ্রব্য পাচারের সঙ্গে নাকিই নিজে জড়িয়ে থানার আইসি (IC)। মাদকের ডিলারদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। তিনি নিজেও নাকি মাদক মজুত করে রাখেন। এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন আমডাঙার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক রফিকুর রহমান। তাঁর দাবি, আইসির ইচ্ছাতেই এলাকায় মাদক সামগ্রীর ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। শুধু মাদক নয়, যোগান আছে আরও একাধিক নিষিদ্ধ জিনিসেরও। এইভাবে চলতে থাকলে কোনওদিনি আমডাঙা এলাকায় শান্তি আসবে না বলে দাবি বিধায়কের। বিধায়কের এই মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার। এদিন হাটের মধ্যে এক ব্যবসায়ীর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় আমডাঙার (Amdanga)দারিয়াপুর এলাকায়। দুষ্কৃতীদের এই কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন রাতেই হাটের ব্যবসায়ীরা নৈহাটি-হাবরা রোড অবরোধ করেন। পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তৈরি হয় তীব্র যানজট। খবর পেয়েই আমডাঙা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কোনওরকমে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আমডাঙার দারিয়াপুরের হাটের ব্যবসায়ীরা জানান এলাকার দুই দুষ্কৃতী মাদকের ব্যাবসা করে। সোমবার তারই প্রতিবাদ করেন হাটের মালিকের ছেলে। এর জবাব দিতে তিন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। মারধরও করে তারা। ঘটনার পর আমডাঙার আইসির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। আইসিকে অপসারণের দাবিও তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘ড্রাগ ডিলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে আমডাঙার আইসি অঞ্জন দত্তের।’

দীর্ঘদিন ধরেই আমডাঙা এলাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা – বিডিও অফিস, থানার পাশের কাছাড়ি মোড়, দারিয়াপুরে প্রায় প্রকাশ্যেই মাদকের কারবার চলে। এর প্রতিবাদে মদের ঠেক ভাঙচুরও করেন স্থানীয় মহিলারা। সেবারও বেআইনি কারবার বন্ধে সরব হয়েছিলেন বিধায়ক রফিকুর রহমান। কিন্তু তারপরও রমরমিয়ে চলছে মাদক পাচার চক্র।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর