পদ পেয়েই কুঁড়েঘর থেকে প্রসাদতুল্য বাড়ি! নেত্রী বললেন কারও এক টাকাও খাইনি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও চর্চায় এক বাড়ি। বাড়ির বদলে ‘বাড়াবাড়ি’ বললেও খুব একটা ভুল হয় না বোধহয়। কিন্তু কীভাবে রাতারাতি এহেন প্রাসাদ হাঁকিয়ে ফেললেন এক অঙ্গনওয়ারি কর্মী তা নিয়েই তুমুল গুঞ্জন এলাকায়। যদিও সেসবে কান দিতে নারাজ ওই নেত্রী।

উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বানীবন গ্রামের সাঁতরাপাড়ার বাসিন্দা মনিকা সাঁতরা। তাঁর বাড়িকে ঘিরেই শোরগোল এলাকায়। ১৪০০ বর্গফুটের দুধসাদা বাড়িটিকে দেখলে রীতিমতো কোনও কটেজ বা বাংলো বলে ভুল হতেই পারে। কিন্তু কীভাবে তৈরি হল এই বাড়ি? স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একটি বিশেষ পদ পাওয়ার পরই নাকি রাতারাতি মনিকা তৈরি করে ফেলেছেন এই বাড়ি। যদিও বাড়ির মালকিনের অবশ্য দাবি, নিয়ম বহির্ভূত বা বেআইনি কিছুই করেননি তিনি।

মাস কতক আগেই এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবেই যোগ দেন মনিকা। এছাড়াও সম্প্রতি ব্লকের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্ঘ সমবায়ের সম্পাদিকা তিনি। এই পদের জন্য অবশ্য কোনও রকম বেতন বা সাম্মানিক পাওয়া যায় না। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে তাঁর বেতন মাসিক ৮ হাজার টাকা। মনিকার স্বামী কারখানার শ্রমিক। তাঁরও রোজগার মাসে ১০-১২ হাজারের বেশি নয়। ছেলে কাজ কর্ম না করে বাড়িতেই বসে রয়েছে বহুদিন। মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ফলে সব মিলিয়ে যে পরিবারের মাসিক আয় সাকুল্যে ২০ হাজার টাকা সেই পরিবারের এহেন প্রসাদ তুল্য বাড়ি দেখে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।

১৪০০ স্কোয়ারফুটের এই বাড়িটি তৈরি করতে মোটামুটি ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলেই অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফলে এলাকায় গুঞ্জন যে সমবায় সমিতির টাকাতেই দুর্নীতি করেছেন মনিকা। যদিও সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মনিকা সাঁতরার দাবি, ‘কারও থেকে এক কাপ চাও খাইনি। নিয়ম বহির্ভূত কোনও টাকা কারও কাছ থেকে নিইনি। আমাকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্ঘ সমবায়ের সম্পাদিকা করায় অনেকের হিংসা হয়েছে। তাঁরাই এ সব কুৎসা রটাচ্ছেন। বাপের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রির টাকা পেয়েছি। বন্ধুর থেকে বড় অঙ্কের টাকা ধার করেছি। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছি। অনেক কষ্ট করে বাড়িটা করেছি। কোনও অসৎ উপায়ে বাড়ি করিনি। কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে, তা হলে তাকে দেখিয়ে দেব, কোথা থেকে ধার করে বাড়ি তৈরি হয়েছে।’


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর