বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকরের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসকের নির্মম হত্যা-ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদ গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য। সেই সাথে রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতার। তাই আগামীকাল অর্থাৎ ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এরইমাঝে প্রকাশ্য সভা থেকে হুমকি দিয়েছেন এক তৃণমূল নেতা।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রচারে নামলে বন্ধ হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmi Bhandar)
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে প্রচারে নামলে বন্ধ করে দেওয়া হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmi Bhandar)-এর মতো সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। শুধু তাই নয় সেই সাথে ওই তৃণমূল নেতা মনে করিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পর যেভাবে রেশনের চাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই ভাবে এবার বন্ধ করে দেওয়া হবে সরকারি প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা।
এই মুহূর্তে আরজিকরের তরুণীর বিচারের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। এরইমধ্যে আজিকর কান্ডের পর দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কোচবিহার শীতলকুচির গোসাইয়ের হাটে মিছিল করেছিল তৃণমূল।ওই মিছিলের পর দলের ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোককুমার রায় এদিন উঁচু গলায় বলেন, ‘লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীরা বলেছিল, মোদী চাল না দিলে দিদি কোথা থেকে দেবেন? ভোটের পরে তাদের খুঁজে বার করে রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন : ‘কলকাতায় থাকি না’, মন্তব্য করে বিতর্কে সৌরভ কন্যা! মাত্র ২২ বছরে কত বেতন পান সানা?
আর চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর নাকি তারা হাতে পায়ে ধরছে বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। আর তারপরেই আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে ওই তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি, ‘এবার আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা আবার চক্রান্ত শুরু করেছে। এবার যারা চক্রান্ত করবে তাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar), বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্প সহ সমস্ত সরকারি সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
এরপরেই ওই তৃণমূল নেতার মন্ত্যব্যের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিজেপির শীতলকুচি বিধানসভার আহ্বায়ক কনকচন্দ্র বর্মন। তিনি বলেছেন, ‘বিরোধী রাজনীতির সমর্থকদের রেশন বন্ধ করে দিয়ে তা আবার প্রকাশ্য জনসভায় বড় মুখ করে বলছেন তৃণমূল নেতা। ভেবে দেখুন পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের কী দশা। তৃণমূল যে প্রতিবাদের নামে নাটক করছে তা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই গণরোষ রুখতে তারা হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক টাকায় রাজ্য সরকার অনুদান দেয় না। অনুদান দেয় সাধারণ মানুষের করের টাকায়। তাই প্রকল্প বন্ধ করার কোনও অধিকার তৃণমূলের নেই।’