বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, যদি কেউ লাভ জিহাদের মতো কিছু করো তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে। সংবাদ সংস্থা ANI অনুযায়ী শিবরাজ সিং বলেছেন, ‘সরকার সবারই, সমস্ত ধর্ম সমস্ত জাতীর সরকার। কোনও বৈষম্য নেই, কিন্তু কেউ যদি আমাদের মেয়েদের সাথে ঘৃণ্য কোনও কাজ করে, তাহলে ভেঙে দেব। যদি কেউ ধর্মপরিবর্তনের পরিকল্পনা বানায় অথবা লাভ জিহাদের মতো কিছু করতে চায়, তাহলে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।”
Govt belongs to everyone – all religions & castes. There is no discrimination but if someone tries to do anything disgusting with our daughters, then I'll break you. If someone plots religious conversion or does anything like 'Love Jihad', you will be destroyed: MP CM SS Chouhan pic.twitter.com/Tj1nwnu14q
— ANI (@ANI) December 3, 2020
এই হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রদেশে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকারের তরফ থেকে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে বিলের খসড়া তৈরি করার কিছুদিন পর সামনে এসেছে। সরকারের বিলে ধর্মপরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করার বিরুদ্ধে ১০ বছরের সাজার নিদান আছে।
উল্লেখ্য, শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশ সরকার লাভ জিহাদ রোখার জন্য নতুন বিল তৈরি তৈরি করেছে। নতুন প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে ধর্ম লুকিয়ে কারোর সাথে প্রতারণা করে বিয়ে করলে ১০ বছরের সাজার নিদান আছে। শুধু তাই নয়, এই কাজে সাহাজ্য করা সংস্থার লাইসেন্স ক্যান্সেল করারও কথা বলা হয়েছে। আবেদন ছাড়া ধর্মপরিবর্তন করা ধর্মগুরুদের পাঁচ বছরের সাজার কথা বলা হয়েছে।
সুত্র অনুযায়ী, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই আইন ক্যাবিনেটে মঞ্জুর হয়ে যাবে আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিধানসভায় হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পেশ করা হবে।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা সম্প্রতি পুলিশ আর আইন বিভাগের আমলাদের সাথে বৈঠক করেছেন। সেখানে ধর্মের স্বাধীনতা আইনের সাথে উত্তরাখণ্ড ও ইউপি আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আইনে সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা বলেন, এরকম বিয়ে করানো ধর্মগুরু, কাজী অথবা মৌলবীদের পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে। তাদের লাইসেন্স ও বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে যে, ধর্মপরিবর্তন করার একমাস আগে সূচনা দিতে হবে। ধর্মপরিবর্তন আর জোর করে বিয়ের অভিযোগ স্বয়ং নির্যাতিতা, মা-বাবা, পরিজন আর অভিভাবক দ্বারা করা যেতে পারে। এই অপরাধ জামিন অযোগ্য ধারায় দাখিল হবে।