বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করে নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া যায়। এমনকি বাড়ানো হয় লকডাউনের সময়সীমাও। ভারতে আগামী ৩ রা মে অবধি লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র সরকার। প্রয়োজনে এই সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। নাগরিকদের সফলভাবে এই লকডাউন পালনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। করোনা ভাইরাসের প্রসার রোধে একমাত্র পথ লকডাউন।
বিভিন্ন জায়গায় চিহ্নিত করা হছে হটস্পট এলাকা। কিছু জায়গা সিল করা হয়েছে। বাকি জায়গা প্রয়োজনে সিল করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) লকডাউন তুলে নেওয়ার পেছনে কয়েকটি শর্ত রাখল। এই শর্তগুলো মানলে। তবেই লকডাউন তুলে নেওয়া যেতে পারে। নচেত চলবে এই লকডাউন।
এই শর্তগুলো হল-
১) যে এলাকায় ভাইরাস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে চলে আসবে, অর্থাৎ আর কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হবে না, তখন সেখানে লকডাউন কিছুটা হলেও শিথিল করা যেতে পারে।
২) যেসব এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে, সেইসব এলাকা থেকে করোনা সংক্রমণ কমাতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সেখানে আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ হবে না।
৩) বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যেম ভাইরাসের সংক্রমণ করা যাবে না।
8) যদি কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হন, তাঁকে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা করতে হবে এবং কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
৫) সমাজের বিরাট অংশের মানুষকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর দিকটি সম্বন্ধে সচেতন করতে হবে। তাঁদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাতে হবে।
৬) জনবহুল স্থান অর্থাৎ অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, শপিং মল, বড় বড় দোকান এবং বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ভাইরাসের প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে, তবে লকডাউনের সময়সীমা কমানোর বা লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে ভাবা যাবে।