বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (COVID-19) আতঙ্কের মধ্যেও একের পর এক ভারতে (India) হামলার ছক কষছে পাকিস্তান। লকডাউনের সুযোগ নিয়ে জঙ্গি ঢুকিয়ে দিচ্ছে ভারতে। লাগাতার নাশকতার ছক করে চলেছে তারা। এরই মধ্যে পাক জঙ্গি হামলায় নিহত হয় ভারতের ৪ সেনা জওয়ান সহ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক সাব ইনস্পেক্টর।
ঘটনার সূত্রপাত
শনিবার সকালে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দেওয়ারার চানাজমুলা গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে তাঁদের পণবন্দি করে রাখে ওই দুই জঙ্গি। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। ২১ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী তল্লাশি চালাতে থাকে পুরো গ্রামে। দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ ওই বাড়ি উদ্ধার করতেই আচমকা গুলি চালায় জঙ্গিরা।
শুরু হয় গুলির যুদ্ধ
পাল্টা গুলি চালাতে থাকে সেনারা। এইভাবে চলতে চলতে রবিবার ভোর থেকে শুরু হয় এনকাউন্টার। এইভাবে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির যুদ্ধে প্রাণ হারান ভারতের চার সেনা জওয়ান এবং জম্মু ও কাশ্মীর এক সাব ইনস্পেক্টর। নিহত হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, ল্যান্সনায়েক দীনেশ, রাইফেলম্যান রাজেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এসআই (SI) শাকিল কাজী। তবে পুলিশের পাল্টা গুলিতে শেষ হয় ওই দুই জঙ্গিও।
সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে
এই হামলার প্রসঙ্গে প্রাক্তন সামরিক কর্মীরা বলেছেন যে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবেলায় কৌশল পরিবর্তন করা জরুরি। সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
কথা না শুনলে বাড়ি শুদ্ধ উড়িয়ে দিতে হবে
আর কতদিন ভারতের সেনারা এই ভাবে প্রাণ হারাবেন? অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভি কে সাহি জানান, যে কোনও সন্ত্রাসবাদী যদি কোনও বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে বা লোককে ভয় দেখাচ্ছে, সেখানে উপস্থিত সকলকে প্রথমে সতর্ক করে তাদের বাইরে আসতে বলা উচিত। যদি এটি না হয় তবে স্থানটি উড়িয়ে দেওয়া উচিত। এর সাথে সন্ত্রাসীরা আশ্রয় পাওয়া বন্ধ করবে। ভারতীয় সেনাদের আর শহীদ হতে দেওয়া চলবে না।