বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সরকারী আবাস যোজনা প্রকল্পের (abas yojana) মাধ্যমে বহু মানুষ ভালোভাবে মাথা গোঁজার বাড়ি পেয়েছে। মাথার উপর ছাদ, পাকা বাড়ি পেয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু এই সহজ বিষয়ের মধ্যে আবার উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। যদি শাসকদলের নেতা-অফিসারদের টাকা দেওয়া হয়, তবেই ঘর মিলছে বলে অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি।
এমনই অভিযোগ তুললেন মহিষাদলের নাটশাল-২ গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেখ মামুদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘আবাস যোজনা প্রকল্পে আমার নাম থাকার পরও আমাকে আমার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ১১৬ নম্বর বাঁকা গাজীপুর বুথের তৃণমূল সভাপতি শেখ আবুল ফারার আমাকে অঞ্চল দফতরে নিয়ে যান এবং সমস্ত কাগজপত্র দেখে অঞ্চল অফিসের আধিকারিক পূর্ণেন্দু পাত্র এবং পূর্ত সঞ্চালক অভিজিৎ দাস। তাঁরা আমার কাছে ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। রীতিমত চাপও দেওয়া হয় এই নিয়ে। ওদের বললেও কিছু শুনছে না। শেষে ২০ হাজার টাকা অনেক কষ্টে জোগার করে দেব বললেও, কোন লাভ হয়নি। ৭০ হাজার টাকা না দিলে, বাড়ি দেবে না বলে জানিয়েছে’।
এই বিষয়ে মহিষাদলের বিডিও যোগেশ মণ্ডলকে লিখিত জানালে, তিনি এবং তৃণমূলের বুথ সভাপতি, অঞ্চল আধিকারিকরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তাঁদের দাবি, আগে থাকতেই শেখ মামুদের নামে পাকা বাড়ি রয়েছে এবং এই বিষয়ে তিনি অঞ্চলের থেকে অনুমতিও নিয়েছেন। তাই এখন এই আবাস যোজনার টাকা তিনি কিভাবে পাবেন?
শাসক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ করেন তাঁরা। আবার এই বিষয়ে শেখ মামুদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফ থেকে আইনি অভিযোগও দায়ের করা হচ্ছে, বলে জানান তাঁরা।