বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন থেকে ব্যাংক জালিয়াতির খবর সামনে আসছে। এই জালিয়াতি মূলত হচ্ছে আধারের বায়োমেট্রিক (Biometric) জাল করে। কিছুদিন আগেই এক শিক্ষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ১০ হাজার টাকা। পরে জানা যায় তিনি আঙুলের ছাপ দিয়ে তুলেছিলেন রেশন (Ration)।
এরপর তার সেই আঙুলের ছাপ জাল করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। এই পরিস্থিতিতে সাইবার বিশেষজ্ঞ থেকে পুলিশ, সবাই বলছেন আধারের বায়োমেট্রিক লক করে রাখতে। কিন্তু এই অবস্থায় অনেকের প্রশ্ন আধারের বায়োমেট্রিক যদি লক করা হয়, তাহলে কি আঙুলের ছাপ দিয়ে তোলা যাবে রেশন?
আরোও পড়ুন : আসছে মাস্কড আধার! ব্যাংকের তথ্য এবার থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, দেখুন কীভাবে বানাতে হয় এই কার্ড
খাদ্য দপ্তর জানাচ্ছে, বায়োমেট্রিক লকের সাথে সম্পর্ক নেই রেশন তোলার। আধারের বায়োমেট্রিক লক থাকুক বা না থাকুক, অসুবিধা হবে না রেশন তুলতে। রেশন কার্ড হোল্ডার ও তার পরিবারের সদস্যদের আঙুলের ছাপ আগে থেকেই মজুত রয়েছে খাদ্য দপ্তরের কাছে। তাই আধারের বায়োমেট্রিক লক থাকলেও গ্রাহক রেশন তুলতে পারবেন।
আরোও পড়ুন : হাওড়া থেকে আরও দুটি বন্দে ভারত চালু হচ্ছে সোমবার! কোন কোন রুটে চলবে নতুন এই ট্রেন?
এমন পরিস্থিতিতে অনেকের প্রশ্ন যদি রেশন ডিলাররা জালিয়াতির সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে কী করণীয়? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি খাদ্য দপ্তরের কর্মী থেকে আধিকারিক কেউই। খাদ্য দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, জালিয়াতি চক্রের সাথে যদি রেশন ডিলারদের যোগ থাকে, তার খবর খাদ্য দপ্তরের পাওয়ার কথা নয়। ফলে রেশন দোকান থেকে আঙুলের ছাপ চুরির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে অতীতে অভিযোগ এসেছে যে তারা মজুত করা অতিরিক্ত খাদ্য বেচে দিচ্ছেন বাইরে। রেশন ডিলারদের চুরি রুখতে সরকার চালু করে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। এই সিস্টেমে গ্রাহকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তুলতে হয় রেশন। এর ফলে কতটা পরিমাণ খাদ্যশস্য বেঁচে যাচ্ছে তার খবর পৌঁছে যায় খাদ্য দপ্তরে।