বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগ্রায় (Agra) ৫৫ ঘণ্টার লকডাউনের শেষ দিন, বিজেপির (Bharatiya Janata Party) নেতাকর্মীরা নিজেরাই ভাঙ্গলেন করোনা সম্পর্কিত বিধি নিষেধের আইন। বিজেপি বিধায়ক যোগেন্দ্র উপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে রাস্তায় নেমে পড়লেন বিশাল মানুষের ঢল। মানা হল না করোনা সতর্কীকরণ, এমনকি ব্যবহৃত হল না মাস্কও। ঘটনার জেরে নিন্দার সরব হয়েছেন অনেকেই।
বিজেপি বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
পুলিশ কর্মীর সামনেই ৪০ টি গাড়ির কনভয় এবং ১৫ কিমি রাস্তা ধরে মিছিল বের করা হয়েছিল। ফতেয়াবাদ রোড থেকে জয়পুর হাউস পর্যন্ত চলেছিল এই মিছিল। বিজেপি আইনসভা দলের প্রধান হওয়ার কারণেই তাঁকে এই সংবর্ধনা জানানো হয়। দুজন বিধায়ক, ১৫ জন কাউন্সিলর এবং বিজেপি শহরে ২১ টি মন্ডলের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠান সূচী
ফাতেহাবাদ রোডের হোটেল রামদার সামনে দুপুর তিনটে থেকেই বিজেপি সদস্যরা এসে জমা হতে থাকে। তারপর বিকেল চারটে থেকে এই শোভা যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিধায়ক প্রথমে জয়পুর হাউজের বিজেপি অফিস এবং তারপরে মাধব ভবনে সংঘের কার্যালয়ে পৌঁছেছিলেন। মহেশ গোয়েল, পুরুষোত্তম খন্দেলওয়াল, মহানগর ভানু মহাজন, উত্তরের বিধায়ক, খেরগড়ের বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র ইন্দ্রজিৎ আর্য, প্রাক্তন মহানগর সভাপতি বিজয় শিবহরে সহ একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতার উপস্থিত ছিলেন।
লঙ্ঘিত হয়েছে করোনা সম্পর্কিত বিধি নিষেধ
এই শোভা যাত্রায় লকডাউনের পাঁচটি বিধি উলঙ্ঘিত হয়েছিল। বাড়ির বাইরে না বেরোনোর প্রশাসনিক আদেশ, মাস্ক না ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব উলঙ্ঘনের পাশাপাশি, অনুমতি ব্যতিরেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা না করার সাথে সাথে সর্বপরি প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশও উলঙ্ঘন হয়েছে।
কি বললেন বিধায়ক যোগেন্দ্র উপাধ্যায়?
এবিষয়ে বিধায়ক যোগেন্দ্র উপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কর্মীদের সংবর্ধনা দিতে না আসার জন্য এবং লকডাউন অনুসরণ করার জন্যই বলেছিলেন। সেই কারণে তিনি চিঠিও লিখেছিলেন। এমনকি তিনি তাঁর ফেরার সঠিক দিন তাঁদের জানায়নি। তা সত্ত্বেও, তারা সঠিক সময়ে স্টেশনে পৌঁছে যায়।