বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইআইএম জোকা (IIM Joka) চত্বরে তরুণী মনোবিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার মোড় ঘুরিয়েছে নির্যাতিতার বাবার বিস্ফোরক দাবি। ফলে তদন্তে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি।
সিসিটিভি, টাওয়ার লোকেশন, ফরেন্সিক—সব খতিয়ে দেখছে পুলিস। বাইরের রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী IIM জোকায় (IIM Joka) প্রবেশ ও সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। টাওয়ার লোকেশনও জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ে তরুণী ওই ক্যাম্পাসেই ছিলেন। ইতিমধ্যেই পুলিস ক্যাম্পাসের ভিতরের ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে আইআইএম কর্তৃপক্ষকে। ফরেন্সিক দল সিল করেছে নির্দিষ্ট ঘর, নমুনা সংগ্রহে ব্যস্ত তদন্তকারীরা।
অভিযোগ তুলে নিয়েছেন নির্যাতিতা? ধন্দে তদন্তকারীরা
যদিও অভিযোগ দায়েরের পর তরুণীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে পুলিস। তরুণী ফোন তুলছেন না, মেডিক্যাল পরীক্ষাও এখনও হয়নি, বাজেয়াপ্ত করা যায়নি পোশাক বা মোবাইল। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ছাত্রের মোবাইল থেকে ভিডিও পাওয়া যায় কি না, তার খোঁজ চলছে। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত পাসওয়ার্ড জানাতে অস্বীকার করেছে।
বিস্ফোরক বয়ান তরুণীর বাবার
ঘটনার মোড় ঘোরে নির্যাতিতার বাবার কথায়। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে কোনও শারীরিক নির্যাতনের কথা বলেনি। বরং অটো থেকে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছে। বাবার দাবি, মেয়েকে এমন বয়ান দিতে বলা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আদৌ অভিযোগ সত্য, নাকি সামাজিক চাপে পিছিয়ে আসছে পরিবার?
আরও পড়ুনঃ শওকত বলছে আইএসএফের হাত, অথচ রেজ্জাক খুনে ধরা পড়ল তৃণমূলেরই দাপুটে নেতা
তদন্ত চলছে, প্রশ্ন অনেক
আইআইএম জোকার (IIM Joka) মতো প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযোগ সামনে আসায় উদ্বিগ্ন অনেকেই। তরুণীর চ্যাট, লোকেশন, ভিডিও, ফরেন্সিক নমুনা—সবকিছু মিলিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তবে নির্যাতিতা অসহযোগিতা করায় তদন্তে বড় বাধা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে পুলিস।