বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে মন্দার বাজারেই চাকরির বেতন কিনা এক কোটি টাকা! শুনেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ল আইআইটি খড়গপুরের (IIT Kharagpur) ক্যাম্পাসে। একজন কিংবা দুজন নয়, ৭ জন পড়ুয়া পেলেন বার্ষিক ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বেতনে চাকরি।
ভারতীয় এক সংস্থার সুযোগেই এমন ভাগ্য খুলে গেল ৭ ছাত্রের। এই মন্দার বাজারে শুধু চাকরিই নয়, বার্ষিক ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পেলেন আইআইটি খড়গপুরের ক্যাম্পাসে ৭ জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের (east midnapore) ভোগপুরের খন্ডখোলা অঞ্চলের চাকদহ গ্রামের বাসিন্দা শেখ ওয়াসেফুর রহমানের পুত্র শেখ ইজাজুর রহমান। বছর ২২ হলেও, তাঁর বেতন হচ্ছে বার্ষিক ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
সফটওয়্যার ডেভেলপার পদে চাকরি পেয়েছেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডুয়াল ডিগ্রী কোর্সের অন্তিম বর্ষের ছাত্র শেখ ইজাজুর রহমান। বাবা শেখ ওয়াসেফউর রহমান কামিনাচক হরিচরণ এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ইজাজুরের মা হলে একজন গৃহবধূ।
ছেলের এই সাফল্যে অভিভূত ইজাজুরের বাবা মাও। তাঁরা বলেন, ‘ছোট থেকেই ছেলে পড়াশুনায় খুব ভালো, পড়াশুনা নিয়েই থাকত সারাদিন। কোন দিন ওকে কোনকিছুতে বাধাও দিইনি, আবার জোরও করিনি। কোনদিন এতো ভালো বেতনের চাকরি পাবে, আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। ছেলের সাফল্যে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত’।
নিজের এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইজাজুর বলেন, ‘ভালো একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও, এতোটা পাব আশা করিনি। গুগল ,মাইক্রোসফট এ সব কোম্পানিতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, গুগল ডাইওয়ান থেকে অফার পেয়েছিলাম। তবে তারপরও ভালো কিছুর জন্য চেষ্টা করছিলাম। আর এটা পেয়েও গেলাম। হতাশ হলে চলবে না, IIT-তে পড়া মানেই কোটি টাকার চাকরি নয়, এটা মনে রাখতে হবে’।
প্রসঙ্গত, চাঁইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী অবধি পড়াশুনা করার পর দেড়িয়াচক শ্রী অরবিন্দ বিদ্যা মঠ হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণী অবধি পড়াশুনা করেন ইজাজুর। এরপর তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুল থেকে ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ওই বছরই জয়েন্ট এন্ট্রান্স (JEE) ক্র্যাক করে ভারতের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম আইআইটি খড়গপুরে পড়ার সুযোগ পান।