পড়ার খরচ যোগাতে বেচতেন মুড়ি! বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলের সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগাবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাবা ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। বাড়িতে মা একা থাকেন। এক বোনের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। তাই সংসারের জোয়াল টানতেই একপ্রকার বাধ্য হয়ে শুরু করেছিলেন মুড়ি বিক্রির কাজ। সেই মুড়ি বিক্রেতা আকাশ আলমের বেনজির কীর্তিতে মুগ্ধ সকলেই। এখন প্রশ্ন হল কী এমন করল আকাশ?

জানা গিয়েছে, ইচ্ছেশক্তির জোরে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে সঙ্গী করে  ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি জয়েন্ট এডমিশন টেস্ট ফর মাস্টার্স (আইআইটি জ্যাম)-এ নজরকাড়া ফল করলেন লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলার ওই তরুণ। গত ২২ মার্চ এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেতেই দেখা যায় সারাদেশে আকাশের র‍্যাংক ১১৭।

আরোও পড়ুন : দেড় মাসে ১৫ দিন বন্ধ মদের দোকান! সুরাপ্রেমীদের মাথায় হাত, দেখুন আপনার এলাকায় কবে ‘ড্রাই ডে’

আকাশ আলমের কেরিয়ার গ্রাফ অবশ্য রীতিমতো ঈর্ষণীয়। আকাশ বিদ্যাসাগর শিশুনিকেতন থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। এরপর বড় মরিচা দেলোয়ার হোসেন উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ। পরে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে মাথাভাঙ্গা বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্দান্ত রেজাল্ট করেন।

আরোও পড়ুন : এবার আরোও আরামে ট্রেন চালাবেন চালক-গার্ডরা! পূর্ব রেলের লোকালেও আসছে AC কেবিন

এরপর ২০২২ সালে কোচবিহারের আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজ থেকে গণিতে বিএসসি পাশ করেন শীতলকুচির বাসিন্দা আকাশ আলম। ৮৯.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। আকাশ বলেন, সকালে ও সন্ধ্যায় দোকানে বসি। রাতে যেটুকু পড়ার সময় পাই মন দিয়ে পড়াশোনা করি। পড়াশোনা শেষ করে আইআইটিতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে।

success

এদিকে, ছেলের ভালো ফল হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আকাশের বাবা-মায়ের। ছেলের পড়াশোনার খরচ কীভাবে চলাবেন, এই ভাবনাই ঘুম উড়েছে তাঁদের। আকাশের মা রোশনারা বিবি বলেন,  ছেলে মুড়ি বিক্রি করে নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করছে। ওর পড়াশোনা কীভাবে চালাব তা বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ছেলেন স্বপ্নপূরণ হবে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর