বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাঙর ধরার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দপ্তর। এমনকি রাজ্যের মৎস্যবন্দরগুলোতে বড় বড় পোস্টার টাঙানো রয়েছে, যেখানে ছবি দিয়ে স্পষ্ট করে লেখা আছে কোন কোন মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তাতে কিছুই তোয়াক্কা করছে না একাংশ অসাধু মৎস্যজীবী। নামখানা নারায়নপুর মৎস্যবন্দরে ধরা পড়ল সেই ছবিই। ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার জাল দিয়েই চলছে এই কারবার।
সেখানে দেখা গেছে, ট্রলার থেকে ভুটভুটি নৌকায় করে আনা হচ্ছে ছোট মাছের পাশাপাশি ক্যারেট ভর্তি ছোট হাঙর। ক্যামেরা দেখেই মৎস্যজীবীরা তড়িঘড়ি সেই মাছগুলো লুকিয়ে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রশ্ন করা হলেও কেউ জানাতে চাননি এই হাঙরগুলো কোন ট্রলার থেকে এসেছে।
কাকদ্বীপের বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ছোট হাঙর
কাকদ্বীপের (Kakdwip) বিভিন্ন মাছের বাজারে এই ছোট হাঙরগুলো দেদার বিক্রি হচ্ছে বলে খবর সূত্রের। বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে এইভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ভেঙে পড়বে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র। কারণ, হাঙরই সমুদ্রের খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিও এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, প্রশাসনকে এখনই আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে হাঙর প্রজাতি একেবারেই হারিয়ে যেতে পারে বঙ্গোপসাগর থেকে।
ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার জালে ধরা পরছে হাঙ্গর
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বড় হাঙর এখন আর ধরা পড়ে না। ছোট ছোট হাঙরগুলি অন্যান্য মাছ ধরার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার জালে ধরা পড়ে। তবে এই মাছগুলি যাতে বাজারে বিক্রি না হয়, সেদিকে কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। জানা যাচ্ছে, ছোট হাঙর ধরা পড়ছে মূলত ইলিশ ধরার জালে।
আরও পড়ুনঃ এখনও আকাশছোঁয়া দাম, এবার বাজার থেকে হারিয়েই যাবে ইলিশ! বড়সড় আশঙ্কা মৎস্যজীবীদের
বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য বলেন, “সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে হাঙর অপরিহার্য। ওদের সংখ্যা কমে গেলে সমুদ্রের খাদ্যচক্র পুরোপুরি বিঘ্নিত হবে।” অন্যদিকে, মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির বক্তব্য “অসাধু কিছু লোকের জন্য সব মৎস্যজীবীকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। প্রশাসন যদি কঠোরভাবে বাজারগুলোতে নজর রাখে, তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই কমবে।”