বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু অর্জুন অভিনীত সিনেমা “পুষ্পা: দ্য রাইজ” মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বক্স অফিসে চূড়ান্ত সফলতা পেয়েছে ছবিটি। ব্যবসার নিরিখে একের পর এক রেকর্ডও ভাঙতে দেখা যায় এই ছবিটিকে।
তবে, ছবিটির পটভূমিকা তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ ধরনের চন্দন কাঠ চোরাচালানের বিষয়ের ওপর। যা এক্কেবারে বাস্তব ঘটনার সাথেই জড়িত। এই চন্দন কাঠকে বলা হয় রক্তচন্দন। দামের বিচারে সোনার চেয়েও মূল্যবান হল এই কাঠ। অত্যন্ত দুর্লভ এই গাছের চোরাচালানের দৃশ্যই তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাটিতে।
সিনেমার দৃশ্যে দেখানো চন্দন কাঠ নিয়ে চোরাবাজারের প্রসঙ্গ কিন্তু সম্পূর্ণ বাস্তব। এই কাঠকে ভারতের অন্যতম মূল্যবান বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত এই বিশেষ ধরনের কাঠ, লাল রঙের হয়ে থাকে বলে একে বলা হয় রক্তচন্দন। এই কাঠের মধ্যে কোনো গন্ধ পাওয়া যায় না।
এই গাছটি শুধুমাত্র তামিলনাড়ু এবং অন্ধপ্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় যেমন নেলোর, কুর্নুল, চিত্তুর ও কুদ্দাপাহ জেলায় দেখতে পাওয়া যায়। এই কাঠ আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এই চন্দন কাঠ মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সাজসজ্জার সামগ্রী, পূজা-অর্চনা, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র এবং প্লাইউড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এই কাঠের ওষধি গুণও রয়েছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই চন্দন কাঠ থেকে মূল্যবান ওয়াইন তৈরি করা হয়। তাই সারা বিশ্বে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। যেই কারণে চোরাচালানকারীরা যথেচ্ছ হারে এই গাছ কেটে ফেলে। গাছটি পরপর এতটাই কমতে থাকে যে, IUCN ২০১৮ সালে এই গাছকে “প্রায় বিলুপ্ত” শ্রেণির তালিকাভুক্ত করেছে। মোট পরিমাণের আর মাত্র ৫ শতাংশ গাছ অবশিষ্ট রয়েছে।
রক্ত চন্দন গাছের দৈর্ঘ্য ৮ মিটার থেকে ১২ মিটার হয়। তাই জলে তলিয়ে গেলেও এই গাছের কিছু হয়না। ভারত থেকে এই কাঠ চিন, জাপান, সিঙ্গাপুর অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই চোরাচালানকারীরা ব্যাপকহারে এই কাঠ চুরি করে এবং চড়া দামে তা বাজারে বিক্রি করে দেয়।