বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ৪টি জেলায় মোট ৩০ টি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। একাধিক জায়গা থেকে উঠে আসছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। সকাল থেকেই নিজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের (Nandigram) রেয়াপাড়ার ভাড়াবাড়িতে ঘরবন্দী ছিলেন মমতা। তবে দুপুরে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। হুইল চেয়ারে করে বয়ালের (Boyal) স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। শেষে আটকে পড়েন বয়ালের ৭ নম্বর বুথে। বাইরে তৃণমূল-বিজেপির খণ্ডযুদ্ধ। অবশেষে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে তাঁকে বার করে নিয়ে আসা হয়।
বুথে আটকে থাকার সময় নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য রাজ্যপালকেও (Jagadeep Dhankar) ফোন করেন। মমতা এদিন অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই হিন্দিভাষী গুণ্ডাদের দিয়ে নির্বাচনে অশান্ত লাগানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি তিনি এও অভিযোগ করেন ‘৮০ শতাংশ ভোট ছাপ্পা পড়েছে’ বলে। তবে বয়ালের ওই বুথ থেকে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা দাবি করেন, আমিই জিতব নন্দীগ্রামে। ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূলই পাবে। আমি ভিকট্রি সাইন দেখাচ্ছি।’ তখন তিনি এও বলেন ‘নন্দীগ্রাম নিয়ে তিনি চিন্তিত নন, চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে’।
নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে মমতা বলেন, ‘কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিল। ৬৩টি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, কোনও ব্যবস্থায় নেয়নি।’ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমি বলবো দয়া করে নিরপেক্ষ হন।’ নন্দীগ্রামের ভোট ঘিরে এদিন তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও ওঠে।
অন্যদিকে এদিনই দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে জনসভা করেন মোদী (Narendra Modi) । সেখান থেকে মমতাকে (Mamata Banerjee) টিপ্পনি কেটে মোদী বলেন, ‘কেউ যদি ভোটের অপিনিয়ন পোল বা এক্সিট পোল জানতে চান, তাহলে তাঁকে বেশি পরিশ্রম করতে হবে না, দিদিকে দেখুন তাহলে সব বুঝে যাবেন। ওনার চোখ মুখের হাবভাব দেখে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে চলে গেলেন তিনি, সেখানে গিয়ে বুঝতে পারছেন ভুল করেছেন।’ তবে মোদীর জনসভা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা, তিনি বলেন, ‘বাংলায় ভোটের দিনই কেন জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী?’