বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে বরাবরই চিন্তায় ছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এ বার তাঁদের স্বস্তির খবর শোনাল আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (International Monetary Fund)। জানাল, সঠিক পথেই এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। গোটা বিশ্বের অর্থনীতির নিরিখে ভাল জায়গায় অবস্থান করছে ভারত।
এই দাবি করলেন আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্টয়নেত্তে সায়েহ। তাঁর মতে, ভারতকে পরিষেবা রফতানিতে নিজের বিদ্যমান শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। চাকরি-সমৃদ্ধ উৎপাদন রফতানিতে প্রসারিত করতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল আইএমএফ। সেখানে দাবি করেছিল, গত দু’দশকের সব থেকে বড় আর্থিক মন্দার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব।
২০২১-এর তুলনায় বৃদ্ধি তলানিতে ঠেকেছে। এই বৃদ্ধি আরও নামবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে চলেছে গোটা বিশ্বে। তবে এই পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থা নিয়ে আশাবাদী আইএমএফ। সম্প্রতি একটি সম্মেলনে ভারতের ব্যাপারে এই কথা বলেন আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা। লগ্নিকারী ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যদি দেশের বাজার ছেড়ে চলে যান, তাহলে মুশকিল হবে। বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির মোকাবিলায় ব্যস্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতিবিদদের মতে, মূল্যবৃদ্ধি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তাই বেকারত্ব কমানোর দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের।
এটি করতে গেলে বাড়াতে হবে আর্থিক বৃদ্ধির হার। বেসরকারি লগ্নিকে উৎসাহ দিতে হবে। এটির জন্য সুদের হার বেশি বাড়ানো যাবে না। সম্প্রতি বেকারত্বের হিসেব প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৮.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে বেকারত্বের হার। গত ১৬ মাসে এটিই সর্বোচ্চ। তাই বেকারত্বের মোকাবিলা করতে তৎপর কেন্দ্র। এর মধ্যে দিল্লিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে আইএমএফ-এর ভবিষ্যদ্বাণী।