বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে প্রায় প্রতিটি দেশের কাছেই সাহায্য চাইছে। তাঁরা আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট করার জন্য জুতো ঘষেই চলেছে। কিন্তু কোন দেশই তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জার্মানির ভায়েস চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মর্কেলের সাথে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা বলেন। ইমরান খান শুক্রবার মর্কেলের সাথে কথাবার্তা বলেন।
কথাবার্তার সময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ভারতের তরফ থেকে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের তকম খতম করার পর এলাকায় শান্তি আর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গুলোর এটা দেখা উচিত এবং ভারতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পাক বিদেশ মন্ত্রালয়ের কার্যালয় থেকে এঞ্জেলা মর্কেল আর পাক প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার ব্যাপারে জানানো হয়। আরেকদিকে এঞ্জেলা মর্কেল জানান, তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন, আর তিনি উত্তেজনা কম করা এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য দুই দেশকে বার্তা দিচ্ছেন।
ভারত আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে জানিয়েছে যে, কাশ্মীরের থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে বিশেষ রাজ্যের তকমা মুছে দেওয়া তাঁদের অভ্যন্তরীণ মামলা, আর ভারত পাকিস্তানকে এই সত্যতা স্বীকার করে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আরেকদিকে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রী আবদুল্লাহ রাশিদ এর সাথে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করেছে। পাক বিদেশ মন্ত্রালয় জানায় যে, কুরেশি মালদ্বীপের কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার আবেদন জানিয়েছে।
কুরেশিকে ঝটকা দিয়ে মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, মালদ্বীপ এটা মানে যে, ভারতীয় সংবিধান এর ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ মামলা। মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রালয় একটি বয়ান জারি করে জানায়, ‘মন্ত্রী শাহীদ ফোন কলের জন্য মন্ত্রী কুরেশিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, আর বলেছে যে, পাকিস্তান এবং ভারত দুটো দেশই মালদ্বীপের ভালো বন্ধু এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক স্তরে দুই দেশের সাথেই সম্পর্ক আছে মালদ্বীপের। এরজন্য উনি শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সামাধান করার কথা জানিয়েছেন।”