বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) একটি মহিলা থানায় কর্মরত ছিলেন বাবা। কিন্তু, হঠাৎ করেই ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ হারান তিনি। কর্তব্যরত অবস্থায় ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের তরফে মৃত পুলিশকর্মীর পাঁচ বছরের পুত্রসন্তানকে ‘চাইল্ড কনস্টেবল’ (child constable) পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড়ের ওই মৃত পুলিশকর্মীর নাম রাজকুমার রাজওয়াদে। দিন কয়েক আগেই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার পরেই মানবিকতার খাতিরে এবং সহমর্মিতাবশত রাজকুমারের ছেলে নমন রাজওয়াদেকে চাকরি দেওয়ায় সারা দেশে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়া নমনকে সরগুজা এলাকায় পোস্টিং করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
নমনের মা অর্থাৎ রাজকুমারের স্ত্রী নীতু রাজওয়াদে জানিয়েছেন, ‘আমার স্বামী কয়েকদিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এখন আমার ছেলেকে চাইল্ড কনস্টেবল হিসেবে কাজে যোগদান করানো হয়েছে। কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ছেলের জন্য আনন্দও হচ্ছে।’ পুলিশ সুপার ভাবনার কথায়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার এবং প্রশাসনের সমস্ত নিয়ম মেনেই নমনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নিয়মাবলী অনুযায়ী, কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় কোনও পুলিশকর্মী প্রাণ হারালে, তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য যার বয়স ১৮ বছরের কম, তাকে ‘চাইল্ড কনস্টেবল’ পদের জন্য বেছে নেওয়া যায়। এরপর শিশুটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে স্থায়ীভাবে পূর্ণ সময়ের কনস্টেবল পদের জন্য তাকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নমন অবশ্য এক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রম নয়। বলা বাহুল্য, অতীতেও এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ভারতের এই রাজ্য। গত জানুয়ারি মাসেই ছত্তিশগড়ের সুরজপুরে বাবার মৃত্যুর পর ‘চাইল্ড কনস্টেবল’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল সাড়ে পাঁচ বছর বয়সি শিশুকে। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের কাটনি এলাকায় ৪ বছরের একটি শিশুকেও শিশু কনস্টেবল পদে নিয়োগ করার উদাহরণ আছে।