ক্লাইভের বাড়ির কাছেই ঐতিহাসিক কামানের হদিশ! মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হতেই শোরগোল এলাকায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাটির নিচে আড়াইশো বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি কামানকে খুঁড়ে বের করা হলো। দমদম পুরসভা, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং সিইএসসি ১৫ দিনের চেষ্টায় এই কামানটিকে (Cannon) বার করতে পেরেছে। বুধবার দমদম সেন্ট্রাল জেলের কাছে যশোর রোডের মোড়ে এই কামানটিকে মাটি থেকে উপরে তুলে আনা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কামানের মুখের অংশটি মাটির বাইরে বেরিয়ে থাকায় সেখানে জঞ্জাল ফেলা হতো।

সেটিকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় নিউ সেক্রেটারিয়েটে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ বিপ্লব রায় উপস্থিত ছিলেন সেখানে। যে জায়গায় এই কামান উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে লর্ড ক্লাইভের বাড়ি মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা যুদ্ধে এই কামানটি ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন কেবল তার মাটির তলায় কামানটিকে জড়িয়ে ছিল।

বিপ্লব বাবু জানিয়েছেন, এই কামানটির মাত্র ১ ফুট মাটির উপরে ছিল। এটি ১০ ফুট ৮ ইঞ্চি দীর্ঘ। এই কামানটিকে বের করা হয় কামান বিশেষজ্ঞ অমিতাভ কানুন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায়। কামান উদ্ধারের পর অমিতাভ কানুন জানিয়েছেন, ১৭৬৩ সালে ব্রিটিশরা এই কামানের নকশা করে। ধরা যেতে পারে এই কামানটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৭৭০ সালে। এই কামানটির ওজন প্রায় ছয় টন। এই কামানটি ১৮ কিলোগ্রাম ওজনের গোলা ১,২০০ থেকে ১,৫০০ গজ দূরে ছুড়তে পারতো।

Cannon

মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “এটি আদালতের সম্পত্তি। তাই আদালতের নির্দেশ মত আলিপুর বা অন্যান্য জায়গায় এটাকে সংরক্ষণ করা হবে।” বিপ্লব রায় বলেছেন, “আমাদের রাজ্যের মুকুটে একটি নতুন পালক যোগ হলো। এই ধরনের তোপ আমরা প্রথম মাটি থেকে খুঁজে বের করলাম। কলকাতায় আরো অনেকে এমন কামান আছে। আমরা সেগুলি খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছি।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর