স্বাস্থ্য বিমা না থাকলেই খসবে বেশি অর্থ! দিতে হতে পারে ১০% বেশি টাকা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আপনার বা আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে? অনেকেই ভাবেন স্বাস্থ্য বিমা না থাকলে নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়েই মিটিয়ে দেবেন হাসপাতালের বিল। আমার অনেকে স্বাস্থ্য বিমা (Madiclaim) পেতে দেরি হওয়ায় নিজের পকেট থেকেই বিল মিটিয়ে দেন। তবে এর জন্য আপনার কিন্তু হাসপাতালের বিলের থেকে বেশি টাকা খরচ করতে হতে পারে।

সম্প্রতি গুরগাঁওয়ের (Gurgaon) একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে  রোগীর কাছ থেকে বিলের অংকের বেশি টাকা নেওয়ার। অনুসন্ধান শুরু করলে দেখা যায় এই বিষয়টি নতুন কিছু নয়, বরঞ্চ একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ হওয়ার সময় বিমা কোম্পানির অনুমোদনের অপেক্ষা না করে নিজের পকেট থেকে বিল মেটান।

আরোও পড়ুন : শতহস্ত দূরে রাখুন এই ৭ ধরনের মানুষদের! নাহলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে বাধ্য; বলেছেন চাণক্য

বিমা অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার জন্য ওই ব্যক্তি নিজে থেকে আগে টাকা দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। টাকা দেওয়ার সময় ওই ব্যক্তি লক্ষ্য করেন যে তার কাছ থেকে মোট বিলের ২৭% বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে জানানো হয়, নিজে যারা হাসপাতালের বিল মেটাবেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি টাকা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

আরোও পড়ুন : হেলায় ত্যাগ করলেন IAS চাকরি! তারপরেই সন্ন্যাস গ্রহণ, সুনীলের বর্ণময় জীবন অবাক করে দেবে

শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সেই মুহূর্তে ওই ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়াননি। রোগীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়তি টাকা নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। গত ১৪ই এপ্রিল ৫৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিটি গুরগাঁওয়ের একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন জ্বর,  ডিহাইড্রেশন এবং ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে।

প্রতিদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৮৪০০ টাকা করে চার্জ করে। রুম ভাড়া ছাড়াও নার্সিং পরিষেবা, লিনেন, লন্ড্রি, অ্যাডমিশন চার্জ এবং বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল আলাদাভাবে। ওই ব্যক্তিটি জানিয়েছেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার বিমা কোম্পানিকে জানাতে দেরি করে। অথছ আমি ভর্তির সময়ই বিমার নম্বর, আধার কার্ড সহ সব তথ্য জমা করেছিলাম।

The whole kidney was cut out instead of the stone! The case was filed against the hospital in gujarat

পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, ‘তবে কর্তৃপক্ষ অনুমোদন প্রক্রিয়া দেরি করে। ১৬ এপ্রিল চিকিৎসক আমায় জানিয়েছিলেন যে পরের দিন আমায় ছেড়ে দেওয়া হবে। ১৬ এপ্রিল রাত ৮টা ৭ মিনিটে আমি বিমা কোম্পানির থেকে একটি মেসেজ পাই। ওই মেসেজে উল্লেখ ছিল বিমা কোম্পানি টাকার বিষয়টি সম্বন্ধীয় ক্লেম রিসিভ করেছে।’

তিনি আরোও উল্লেখ করেন, ‘যদি আমি ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার সময় ভর্তি হয়ে থাকি তবে কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিমা কোম্পানিকে জানাতে দুই দিন সময় লাগল? আমি ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বিমা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই। তখন সিদ্ধান্ত নিই হাসপাতালের বিল নিজের পকেট থেকেই মেটাব। অর্থ প্রদানের সময় বিলের থেকে বাড়তি অর্থ নেওয়া হয় আমার থেকে।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর