বাংলাহান্ট ডেস্ক : দারিদ্রতা কমছে ভারতে (India)। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারতের দারিদ্র্য বিমোচনের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। ২০১৩-২০১৪ সালে ২৯.১৭% থেকে ২০২২-২০২৩ সালে ১১.২৮%-এ নেমে এসেছে দারিদ্রতার হার। হিসাব অনুযায়ী ভারতে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৪.৮২ কোটি মানুষ।MPI দ্বারা গণনা করা হয় ভারতের অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের আয়ের স্তর।
সেই হিসাব অনুযায়ী ভারতে দারিদ্র দূরীকরণে সবথেকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য হল বিহার। হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (এইচডিআই) ডেটা অনুযায়ী, ২০২১ সালে তালিকার একদম নিচে রয়েছে বিহার (Bihar)।স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান, এই ৩টি ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের পরিমাপ মূল্যায়ন করা হয়।
আরোও পড়ুন : গাড়িতে সাদা LED হেডলাইট আছে? হয়ে যান সাবধান! এবার দিতে হবে মোটা টাকার চালান
২০১৯-২০২১ সালে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি ছিল বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে। নীতি আয়োগ সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ২০২২-২০২৩ সালে বিহার, মেঘালয় এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলি দারিদ্রতার হার সবথেকে বেশি। তবে ২০১৯-২০২১ এবং ২০২২-২০২৩ সালের মধ্যে বিহারের ৭% মানুষ মুক্তি পেয়েছেন বহুমাত্রিক দারিদ্র্য থেকে।
আরোও পড়ুন : হাওড়া থেকে বাংলা ছাড়িয়ে এই রাজ্য অবধি চলবে বন্দে মেট্রো! বড় ঘোষণা রেলের, কবে শুরু?
২০১৯-২০২১ সালে বিহারে সর্বাধিক ৩৩.৭৬% মানুষ ছিলেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। এরপরেই রয়েছে ঝাড়খণ্ডের নাম। সেই রাজ্যের ২৮.৮১% মানুষ ছিলেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। মেঘালয়ে ২৭.৭৯%, উত্তরপ্রদেশে ২২.৯৩% এবং মধ্যপ্রদেশে ২০%-এর একটু বেশি সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে। বিহারের পর তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘালয় ও ঝাড়খণ্ড।
উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অসম, নাগাল্যান্ড, ছত্তিশগড়, ত্রিপুরা এবং ওড়িশা রয়েছে তারপর। ২০১৯-২০২১ সালে তালিকার ১৩ নম্বর স্থানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। দারিদ্রসীমার নিচে ছিলেন ১১.৮৯% মানুষ। ২০২২-২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উন্নতি হয়েছে। তালিকার ১৪ নম্বর স্থানে পশ্চিমবঙ্গ অবস্থান করছে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমে ১১.৮৯% থেকে ৮.৬০% হয়েছে রিপোর্ট অনুযায়ী।