ভারতে গত ৮ বছরে দারিদ্র্য কমেছে ১২.৩ শতাংশ, এই পদ্ধতি লাগিয়েই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন মোদী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতে (India) দারিদ্র্যতার হ্রাস নিয়ে বড় পরিসংখ্যান সামনে নিয়ে এল বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। জানা গিয়েছে যে, ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতে চরম দারিদ্র্যতার হার ১২.৩ শতাংশ হারে কমেছে। এমনকি, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা যেখানে ২০১১ সালে ২২.৫ শতাংশ ছিল, তা ২০১৯ সালে কমে ১০.২ শতাংশে নেমে এসেছে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গ্রামীণ এলাকাতেই দারিদ্র্যতার হার তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হারে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের পলিসি রিসার্চের ওয়ার্কিং পেপারে এই পরিসংখ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সামনে আনা হয়।মূলত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারত প্রায় চরম দারিদ্র্যতাকে অবসানের পথে নিয়ে এসেছে। এছাড়াও, সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন খাদ্য প্রকল্পের মাধ্যমে মোট বৈষম্য বিগত ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে:
ভারতের শহুরে অঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যতার হ্রাস সবচেয়ে বেশি হারে পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০১১-তে গ্রামে দারিদ্র্যতার পরিমান ২৬.৩ শতাংশ থাকলেও ২০১৯-এ তা কমে ১১.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। পাশাপাশি শহরাঞ্চলে, এই হ্রাসের পরিমান ১৪.২ শতাংশ থেকে ৬.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের দারিদ্র্যতার হার ২০১১-২০১৯-এর মধ্যে যথাক্রমে ১৪.৭ এবং ৭.৯ শতাংশ হারে কমেছে। এক কথায়, গত এক দশকে ভারতে দারিদ্র্যতার হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

মূলত, এই গবেষণাপত্রটি অর্থনীতিবিদ সুতীর্থ সিনহা রায় এবং রায় ভ্যান ডের উইড যৌথভাবে লিখেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পলিসি রিসার্চ পেপারের উদ্দেশ্য হল, উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন ধারণার আদান-প্রদানে উৎসাহিত করা এবং গবেষণার ফলাফল দ্রুত প্রচার করা।

এতে লাভবান হয়েছেন ক্ষুদ্র চাষিরাও:
সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ছোট জমির কৃষকরা এই সময়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “দুটি সমীক্ষা রাউন্ডের (২০১৩ এবং ২০১৯) মধ্যে ছোট জমির কৃষকদের প্রকৃত আয় বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে সবচেয়ে বেশি জমি প্রাপকদের ২ শতাংশ হারে আয় বৃদ্ধি ঘটেছে।”

smile slums poor support

বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই পরিসংখ্যানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে কোন নির্দিষ্ট আধিকারিক কর্তৃক পরিসংখ্যান ভারতের কাছে নেই। ২০১১ সালে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন (এনএসএসও) দ্বারা চূড়ান্ত ব্যয়ের হিসেব প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময়েই দেশের দারিদ্র্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর