বাংলা হান্ট ডেস্ক : দশমীর দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের খুনের কিনারা করতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা পুলিশের। হঠাত্ করেই সবকিছু যেন এলোমেলে হয়ে গেছে। যেহেতু নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল আরএসএস কর্মী ছিলেন তাই তাঁর মৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি। তাই তো বার বার জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জনিয়েছে বিজেপি।
কিন্তু এই চাপানোতরের মধ্যেই পুলিশের হাতে উঠে এসেছে নিহত শিক্ষকের স্ত্রীর হাতের লেখা একটি চিঠি। সেই চিঠি নিয়ে এখন ভাবিত পুলিশ। মিসিং লিঙ্ক খুঁজতে গিয়ে তাঁদের ঘর থেকে যে হাতের লেখা চিঠিটি উদ্ধার হয়েছে সেটি আদৌ কি বিউটি দেবীর তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ওই চিঠি থেকে স্পষ্ট্য সন্তান সম্ভবা বিউটি দেবীর সঙ্গে বন্ধুপ্রকাশ পালের সম্পর্কের কিছুটা চিড় ধরেছিল।
মঙ্গলবার, বেলা 11টা নাগাদ বিজয়া দশমীর দিন জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানের নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরএসএস কর্মী তথা শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর সন্তান, স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়।এরপর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দাবি করা হলেও জেলা পুলিশের তরফ থেকে সেই দাবি অস্বীকার করা হয়। খুনের তদন্তে নেমে যে সাক্ষ্যপ্রমান মিলেছে তাতে ওই তিনজনকে আগে থেকে মাদক খাইয়ে নেশাগ্রস্থ করে খুন করার তথ্য উঠে এসেছে। একইসঙ্গে, ওই আততায়ীরা যে তাঁদের পূর্ব পরিচিত সেই ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
শুক্রবার জেলার এসপি শ্রী মুকেশ জানিয়েছেন ছেলের পড়াশুনার জন্য জিয়াগঞ্জে এসে থাকলেও তাঁদের আদিবাড়ি সাহাপুরে জমি জমা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। আর যেহেতু নিহত শিক্ষক দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান ছিলেন তাই তাঁর প্রথম পক্ষের ভাইদের সঙ্গে কোনো সমস্যা চলছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে বিউটি দেবীর হাতের লেখা যে চিঠি উদ্ধার হয়েছে তা আসলে তাঁর হাতের লেখা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাই ডায়েরি ও চিঠি দুটি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য।তবে যেহেতু গলা কেটে খুন করা হয়েছে তাই নৃশংসতা ও বর্বরতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।