বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে মাথাপিছু আয় (Per Capita Income) ১.৬ গুণ বেড়ে ৪,০০০ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩.২ লক্ষ টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার ফলে ভারত “আপার-মিডিল ইনকাম কান্ট্রি” হিসেবে বিবেচিত হবে। গত শুক্রবার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অর্থনীতিবিদরা একটি রিপোর্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সেখানে বলা হয়েছে, “আমরা আশা করছি যে, এই দশকের শেষের আগেই ভারতের GDP দ্বিগুণ হয়ে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার হবে এবং এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।” এদিকে গৃহস্থালির খরচ তখন ৩ থেকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে। উল্লেখ্য যে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, তাঁর সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। জানিয়ে রাখি যে, ২০২৪ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এই পরিসংখ্যান অর্জনের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য নমিন্যাল GDP ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে অনুমান করেছে। পাশাপাশি, ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, দেশের ন’টি রাজ্যের মাথাপিছু GDP ৪,০০০ ডলারের বেশি হবে।
এছাড়াও সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, “তেলেঙ্গানা, দিল্লি, কর্ণাটক, হরিয়াণা, গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, সম্মিলিতভাবে ভারতের GDP-র ২০ শতাংশ বজায় রেখেছে। পাশাপাশি, সেখানকার মাথাপিছু GDP ৬,০০০ ডলারের বেশি।” এদিকে, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের মাথাপিছু আয় ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে ২,০০০ ডলার হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
পাশাপাশি, রিপোর্টে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং কর্পোরেট ব্যালেন্স শীটগুলি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে এই বৃদ্ধির চালক হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, “বর্তমানে AI-এর যুগে নবীন প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং কর্মসংস্থান উভয়ই বাড়ানোর জন্য দ্রুত গতির পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
এছাড়াও, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড অনুযায়ী, “ভারতের গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ৪ থেকে ৫ বছরের জন্য ক্রমশ উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করার ক্ষেত্রে নীতির প্রতিক্রিয়ায় বিলম্বের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।”