কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদের মৃত্যু, সামনে এল হারহিম করা তথ্য!খুনের বিবরণ শুনলে ‘থ’ হয়ে যাবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতার (Kolkata) নিউটাউনের ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের (Bangladesh) আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন সামনে উঠে আসছে। সূত্রের খবর, একাধিক ম্যারাথন তল্লাশির পরেও আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ মেলেনি এখনও। অনুসন্ধানকারীরা মনে করছেন, সুপারি কিলার ব্যবহার করে এই খুন করা হয়েছিল।

এই খুনের জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল তাদের। জানা যাচ্ছে, সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে গত ১৩ ই মে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তদন্তকারীদের ধারণা এরপর হত্যাকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে সাংসদের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করেছিল দুষ্কৃতীরা। দেহাংশ পচে যাতে বন্ধ না বের হয় তাই সেগুলি রাখা হয়েছিল রেফ্রিজারেটরে।

আরোও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল প্রায় 5 লক্ষ OBC সার্টিফিকেট! আপনারটি বৈধ তো? কীভাবে বুঝবেন?

ভারত ও বাংলাদেশের তদন্তকারীদের তদন্তের তথ্য আদান-প্রদানের ভিত্তিতে এই সব তথ্য উঠে আসছে। এছাড়াও তদন্তের অগ্রগতির সাথে সাথে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশেই খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল আনোয়ারুলকে। এছাড়াও অনুমান এই কাজে যুক্ত রয়েছে সাংসদের ঘনিষ্ঠ কেউ। কারণ তিনি যে কলকাতায় আসছেন সেটা জেনেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। 

আরোও পড়ুন : চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, রবিবারই কলকাতায় আঘাত হানতে পারে রেমাল? আবহাওয়ার খবর

জানা যাচ্ছে, আনোয়ারুল আজিমের সাথে তাঁর এক ব্যবসায়িক বন্ধুর ৪ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গোলমাল চলছিল। এই ব্যবসায়িক বন্ধুই পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড কিনা সেই বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে তদন্তকারীদের। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন এই সাংসদ নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ঢোকার কুড়ি মিনিটের মধ্যেই খুন হয়েছেন।

Rising Cumilla Md. Anwarul Azim Anar

খুনের পর তাঁর দেহাংশ ট্রলি করে অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হয়। এই দেহাংশ পাচারের দায়িত্ব হয়ত দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় কাউকে। এছাড়াও ওই কুড়ি মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে ফেলা হয় নিউটাউনের ফ্ল্যাটটি। এখনও পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না, তাঁর দেহ কোথায়! দুঃসাহসিক এই খুনের ঘটনায় দুই বাংলা কেঁপে উঠেছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর