বাংলাহান্ট ডেস্ক : মনিপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত সংসদ। এই আবহেই পাশ হল ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। স্কুলে ভর্তি হওয়ার থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ডে নাম তোলা থেকে আধার পঞ্জিকরন, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া, এবার সব কাজই সম্ভব হবে জন্ম নথির (Birth Certificate) সাহায্যে।
নতুন আইনে আগের থেকে আরও শক্তিশালী হতে চলেছে জন্ম নথি। বিল অনুযায়ী ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ সাহায্য করবে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে। এর ফলে আরও স্বচ্ছতা লাভ করবে জনসেবা, সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা ও ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়াগুলি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যান্দ রাই এই বিলটি পেশ করেন গত 26 শে জুলাই।
‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করার পর নিত্যানন্দ রাই বলেন, “যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সংশোধন করা হয়নি রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট, ১৯৬৯-কে। কিন্তু প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সহজাত করে দেওয়ার জন্য এর সংশোধন প্রয়োজন। তাই আনা হয়েছে নতুন এই বিলটি।”
সংসদের নিম্নকক্ষের সেটি পাশ হয় গতকাল। এদিন মন্ত্রী আরও জানান, এই বিলটি আনা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলার পরই। নতুন এই বিলে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের বিধান। এই বিলে উল্লেখ রয়েছে অনলাইনে বার্থ সার্টিফিকেট ডেলিভারি করার প্রসঙ্গও। মন্ত্রীর কথায় এই আইন চালু হলে সার্বিকভাবে উন্নত হবে ডেটাবেস।
এতদিন পর্যন্ত জন্মের তারিখ ও জন্মস্থান প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পেশ করতে হত একাধিক নথি। কিন্তু এই বিল কার্যকর হলে শুধুমাত্র একটি বার্থ সার্টিফিকেটেই সব কাজ করা সম্ভব হবে। যদিও বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই বিলের বিরোধিতা করা হয়েছে। কংগ্রেসের সাংসদ মণীশ তিওয়ারির অভিযোগ, নতুন এই বিলের ফলে লঙ্ঘন হবে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি।