বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধর্ম পরিবর্তন না করার জের। প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করার চেষ্টা করল প্রেমিক আয়ান খান। কাটা ঘায়ে লঙ্কা ছেটানো থেকে শুরু করে ফেবিকুইক দিয়ে ঠোঁট ছিটিয়ে দিয়ে চলত নির্যাতন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলায়। ঘটনার বিবরণ শুনে কার্যত হতবাক গোটা দেশ। ঘটনাটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
যদিও মধ্যপ্রদেশ সরকারও হাত পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। ঘটনা সামনে আসতেই বুলডজার চালিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি ঘর ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। এমনকি বাড়িটিকে অবৈধও ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন খোদ গুনার এএসপি মানসিংহ ঠাকুর সহ এসডিএম রবি মালব্য। ইতিমধ্যেই আয়ানের বাড়ির চারপাশে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর।
এইদিন বাড়ি ভাঙার সময় এসপি মান সিং ঠাকুর বলেন, ‘এটি একটি অবৈধ নির্মাণ। বাড়ির একটি অংশ প্রশাসনিক জমিতে তৈরি করা হয়েছিল, যা ভেঙে ফেলা হয়েছে।’ অন্যদিকে গুনার এসডিএম রবি মালব্য বলেন, ইতিমধ্যেই বেআইনি নির্মাণের কারণে অভিযুক্তদের বাড়িতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই কারণেই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।’
আরও পড়ুন : বিরাট এখন অতীত! নিঃশব্দে কোহলির রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন রিজওয়ান, গড়লেন ইতিহাস
এখানে বলে রাখা ভালো যে ঘটনার পর অভিযুক্ত আয়ান খান আপাতত গুনা জেলে বন্দি। সূত্রের খবর, নির্যাতিতাকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আয়ানের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, পিতৃহারা এই মেয়েটির পরিবার বলতে কেবল তার মা। এমতাবস্থায়, আয়ান তাকে তাদের বাড়িটি হস্তান্তর করতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে মেয়েটি রাজি হয়নি। যে কারণে চরম মারধর চলে মেয়েটির উপর।
আরও পড়ুন : RCB-র সাথে ম্যাচের আগে খারাপ খবর, মহা ফাঁপরে শ্রেয়াস ব্রিগেড! বড় ধাক্কা খেল KKR
তার ক্ষতস্থানে লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয় এবং যাতে চিৎকার করতে না পারে তার জন্য ফেবিকুইক দিয়ে ঠোঁট ছিটিয়ে দেয়। মেয়েটি কোনোমতে আয়ানের খপ্পর থেকে পালিয়ে মায়ের কাছে পৌঁছায়। সেখান থেকে সোজা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার মা। তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ। আয়ানকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বুলডজার দিয়ে তার বাড়িটিও ভেঙে ফেলা হয়।