বাংলাহান্ট ডেস্ক : তীব্র গরমে জ্বলছে গোটা বঙ্গ। এমন অবস্থায় লক্ষী লাভ টয় ট্রেনের (Toy Train)। তীব্র গরমে যখন সারা বাংলার সর্বনাশ অবস্থা, তখন দার্জিলিং এর টয়ট্রেনের পৌষ মাস বলা যেতেই পারে। জানা যাচ্ছে, দার্জিলিং-হিমালয়ন রেলওয়ে এই বছর এক মাসের সর্বোচ্চ আয় করেছে। এই আয় এসেছে টয় ট্রেনের হাত ধরেই।
হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ৩০৩০৩ জন যাত্রী এই বছর মে মাসে টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। এর থেকে রেলের আয় হয়েছে ৩.৫৭ কোটি টাকা। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গতবছর টয় ট্রেনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়েছিল মে মাসেই। ২৬,৯০৯ জন যাত্রী ২০২২ সালের মে মাসে টয় ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন।
৩.১৯ কোটি টাকা সেই সময় আয় হয়েছিল রেলের। তবে এই বছর অত্যধিক পরিমাণ গরম পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দার্জিলিং এর পর্যটক সংখ্যা। এই দুয়ের কারণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এই বছর এক মাসে সর্বোচ্চ আয় করল টয়ট্রেন। গত বছর থেকে রাতেও শুরু হয় টয় ট্রেন পরিষেবা।
ঘুম উৎসব উপলক্ষে ১২ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত টয় ট্রেন চালানো হয়েছিল দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত। ভাড়াও ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। একদিকে অস্বস্তিকর গরম, অন্যদিকে আয়ত্তের মধ্যে ভাড়া, সব মিলিয়ে বিগত কয়েক মাসে পর্যটকদের পছন্দের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে দার্জিলিং।
সেই কারণেই লক্ষী লাভ হয়েছে টয় ট্রেনের। টয় ট্রেনের পাশাপাশি বেঙ্গল সাফারি পার্কের টিকিটের চাহিদাও বেশ নজরকারা। এই বছর কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ৫.৬৫ কোটি টাকা। গত বছর আয়ের পরিমাণ ছিল ১.৭৬ কোটি টাকা। এই হিসাব থেকে স্পষ্ট এই বছর ব্যাপক মাত্রায় বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।