বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, এই মানসিকতা নিয়ে উদয়পুরের কৃষক (Farmer) শঙ্করলাল পাহাড় কেটে সেখানে জমি চাষ করে দেখালেন। ৬ বিঘা জমির থেকে প্রায় ২ বিঘা বন্ধ্যা পাহাড়ি জমি চাষ করে বানিয়ে তুললেন শস্যশ্যমলা (Cereals) ফসলি জমি। শঙ্করলালের এই কাজ বর্তমানে সকলের কাছে এক নজির সৃষ্টি করেছে।
শহরে শ্রমিকের কাজ করতেন কৃষক
উদয়পুর থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে পাই গ্রামের বাসিন্দা হলেন এই কৃষক শঙ্করলাল। প্রথমদিকে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে শহরে শ্রমিকের কাজ করতে যেতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তাঁর এক অনন্য চিন্তা ধারা মানুষের ভাবনার রূপ পরিবর্তন করে দিল।
২ বিঘা বন্ধ্যা জমি ছিল তাঁর
পাহাড়ের কাছে প্রায় ৬ বিঘা জমি ছিল শঙ্করলালের। যার মধ্যে প্রায় ২ বিঘা ছিল বন্ধ্যা এবং অনুর্বর। সেই কারণে তারা চাষাবাদ করতে ব্যর্থ হত। কিন্তু শঙ্করলাল সিদ্ধান্ত নিলেন ওই বন্ধ্যা জমিকেই ফসলি জমি করে তুলবেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। শহরের শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দিয়ে পুরো পরিবার নিয়ে জমির কাজে লেগে পড়লেন তিনি।
বন্ধ্যা পাহাড়ি জমি হয়ে উঠল চাষের উপযোগী
জমি চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেলচা এবং কোদাল নিয়ে তারা মাঠে নেমে পড়লেন। শুরু করলেন পাহাড় ভাঙ্গার কাজ। এইভাবে মাত্র এক বছরের মধ্যে তাঁদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং মনোবলের প্রয়োগে তারা সেই পাহাড়ি বন্ধ্যা জমিকে করে তুললেন চাষের উপযোগী। তবে কিছু যন্ত্রের ব্যবহার করলেও, তারা নিজেরাই প্রায় সম্পূর্ণ জমি চাষ করে ফেলেন।
সেখানে চাষ হচ্ছে নানা ধরনের সবজি
শঙ্করলাল প্রতিটি জিনিস সঠিক কাজে ব্যবহার করেছেন। জমি থেকে নির্গত পাথর গুলো দিয়ে জমির চারিপাশে বেড়া দিয়ে দেয়। এরপর ওই জমিকে চাষের কাজে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত মাটির সন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রমের পর সেই জমি হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা ফসলি জমি। বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি, ফলমূল এবং বিভিন্ন ধরণের শস্যের চাষ হয় আজ তার ওই পাহাড়ি বন্ধ্যা জমিতে। তবে তিনি সমস্ত সবজি জৈবিক পদ্ধতিতে উৎপাদন করেন। তাঁর এই অসাধারণ কাজ দেখে কৃষি বিভাগের আধিকারিকরা তাঁকে প্রশংসা করে, তাঁকে অনেক সাহায্যও করেছেন।