চিনের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। এমনকি ভারতেও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। চিনে এখনও পর্যন্ত ৩০০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বহু মানুষ আক্রান্ত এই ভাইরাসে। দিল্লিসহ অনেক রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ এবং সিনেমা হল বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ কোরান ভাইরাসকে মহামারি হিসাবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অতিমারি বলে ঘোষণা করেছে।
ইউপি সহ দেশের অনেক রাজ্যও করোনাকে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করেছে।মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরই হচ্ছেন না মানুষ। চিনে অব্যাহত রয়েছে মৃত্যুমিছিল। সবথেকে ভয়াবহ খবর হল অবশেষে ভারতেও থাবা বসিয়েছে করোনা। আর তার পাশাপাশি ইতালি ৩,৭৫৫ টি মামলা এবং ৩৬৬ জনবিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০০০ মৃত্যুর সাথে এবং এক লক্ষের কাছাকাছি মানুষ মারাত্মক কোভিড -১৯ এর জন্য পরীক্ষা করছে। হিন্দু মহাসভা নামে একটি সংগঠন গোমূত্র পার্টি করে মানুষকে বার্তা দিতে চাইছে।দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দু’জন রোগীর মৃত্যুর পর সারাদেশে একটি সতর্কতা দেখা দিয়েছে। ধর্ম এবং বিশ্বাসের এই দেশে, করোনার অবসান ঘটাতে মন্দিরগুলিতে বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।করোনা নিয়ে সতর্ক করার জন্য মন্দিরগুলিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে লোকদের সতর্ক করার জন্য মন্দিরের পুরোহিতরা মন্দিরের মূল ফটকে দারোয়ানদের মুখোশ পররিয়ে ছিলেন তীর্থ রাজ প্রয়াগের আড়াইল অঞ্চলে অবস্থিত শ্রী নাগেশ্বর মহাদেব মন্দিরও করোনার হাত থেকে সুরক্ষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য দেবদেবীদের মূর্তিগুলিকে মুখোশ পড়ানো হয়েছে। ।
ইউপির লখিমপুর খেড়ির একটি মন্দিরেও এক অনন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত করোনার ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য একটি অনন্য উপায় খুঁজে পেয়েছেন। এই মন্দিরের পুরোহিত আকাশ বাজপেয়ী বলেছেন, “করোনার ভাইরাস সম্পর্কে লোকদের সচেতন করার জন্য আমরা সঙ্কট মন্দিরে বসে সমস্ত দেবতাদের মুখোশ পরেছি। কোভিড -১৯ করোনার ভাইরাস ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।” এই মন্দিরেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মন্দিরে মুখোশ দিয়ে পোস্টারগুলিও আটকানো হয়েছে, যাতে হাত ধোওয়া বাধ্যতামূলক।