বাংলাহান্ট ডেস্ক : শান্তনু ব্যানার্জী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে (Ayan Seal) ৩৭ ঘন্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় সোমবার ভোরে। ইডি (Enforcement Directorate) দাবি করেছে, অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে তাদের হাতে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এছাড়াও ইডির দাবি তারা উদ্ধার করতে পেরেছে একাধিক নথি। তদন্তকারীদের দাবি, স্কুল শুধু নয়, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে পুরসভা থেকে দমকল পর্যন্ত।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তথ্য মিলেছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর। অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চাকরি দেওয়ার নামে পঞ্চাশ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছেন। অয়নকে আদালতে পেশ করা হয় সোমবার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি যে মাত্রায় গেছে তাতে একমাত্র শ্রী কৃষ্ণই বাংলাকে বাঁচাতে পারেন।
এদিন আদালতে অয়নের আইনজীবী দাবি করেছেন, এবিএস ইনফোজোন (Abs infozon) নামক একটি সংস্থার ডিরেক্টর অয়ন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে এই সংস্থার কোনও যোগাযোগ নেই। যদিও ইডি এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। এর আগে ইডি দাবি করেছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল একটি “সোনার খনি।” এই মোবাইল ঘাটলে বোঝা যায় সারা রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে তার হাত ছিল।
তদন্তকারীরা দাবি করেছে শান্তনুর মোবাইল ফোনে ঘেঁটে অয়নের সাথে তার যোগাযোগের তথ্য সামনে আসে। তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছে ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল অয়নের কোম্পানি। অভিযোগ চাকরি দিয়ে অয়ন ৫০ কোটি টাকার অধিক আয় করেছে। পাশাপাশি তদন্তকারীদের দাবি, মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। প্রভাবশালীদের মাধ্যমে পুরসভার চাকরির পরীক্ষাতে প্রভাব খাটানো হত।
এদিন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বর্তমান পরিস্থিতিকে মহাভারতের যুদ্ধের সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, “কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো অবস্থা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যখন অর্জুন তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাজি হচ্ছিলেন না তখন কৃষ্ণ এসে বলেছিলেন যদা যদা ধর্মস্য……. । যেখানে যেখানে অন্যায়ের আবির্ভাব হবে সেখানে কৃষ্ণের আবির্ভাব হবে। বাংলাকে এখন একমাত্র কৃষ্ণই বাঁচাতে পারে।”