বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। সিঙ্গুরে তৃণমূলের প্রায় ২০০ জন কর্মী যোগদান করলেন বিজেপিতে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ২০০ কর্মী নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই দল পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে না ভোটে।
রবিবার সিঙ্গুরে পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ‘যোগদান মেলার।’ এখানে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় দলীয় পতাকা তুলে দেন ২০০ জনের হাতে। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির দুই বারের প্রাক্তন সভাপতি প্রতিমা এদিন তৃণমূল থেকে যোগদান করেন বিজেপিতে। বারুইপাড়া পলতাগড় এলাকার তৃণমূল কর্মী প্রদীপ দাস, শুকদেব দাস, রূপশ্রী পাত্র-সহ আরও অনেকেই ছিলেন তাঁর সঙ্গে।
আরোও পড়ুন : ভোটের আগে না পরে? কখন খুলবেন মাথার স্টিকার? ফের মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
পশ্চিম বারুইপাড়া এলাকার কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে লকেট বলেন, ‘‘প্রায় ২০০ জন মানুষ যাঁরা তৃণমূল এবং সিপিএমে ছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর কাজে উদ্ধুদ্ধ হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বিশেষ করে মহিলাদের যোগদান উল্লেখযোগ্য। এই যোগদানের ফল বিজেপি আরও শক্তিশালী হবে।’’ সিঙ্গুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী হিসাবে এলাকায় পরিচিত প্রতিমা।
আরোও পড়ুন : ‘এই কারণেই রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলাম’! ভোটের মুখেই বোমা ফাটালেন দেব!
একটা সময় বেচারাম মান্না ও রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল এই সিঙ্গুরেই। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ২০০৮ সাল থেকে সিঙ্গুরের পঞ্চায়েত সমিতির একটানা তিনবারের সদস্য ছিলেন প্রতিমা। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সভাপতি ও ২০২৩ পর্যন্ত সহকারী-সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তবে তৃণমূল প্রতিমাকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেনি।
সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রতিমার কথায়, “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে উৎখাত করতে হবে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার, বগটুইয়ের মতো গণহত্যা সেই সব ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্যই আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি। তৃণমূল থেকেও আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু সেই লড়াইয়ে একা পড়ে গিয়েছিলাম। তাই বিজেপিতে যোগদান করলাম।”
সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘প্রতিমা দাস আগে সভাপতি থাকলেও এখন দলে তাঁর সক্রিয়তা ছিল না। তাই দল গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থীও করেনি। বাকি যাঁদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন। তাই তাঁদের যোগদানে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’