বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) কান্ডের সাথে যুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র সরকার, অশোক সাহার মতো এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সেক্রেটারিদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কে দেবেন সেই নিয়েই চলছে জল্পনা কল্পনা।
এদিকে, আদালতের (Highcourt) নির্দেশের পরেও কেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাননি, তা নিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি কার কাছ থেকে আসবে তাই নিয়ে আদালতে ধোঁয়াশা জারি রইল বুধবারও।
আরোও পড়ুন : আর কলকাতার পথ-ঘাটে জমে থাকবে না জল! কতক্ষণে পরিস্কার হবে রাস্তা? জানাল পুরসভা
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, গত শুনানিতে অভিযুক্তদের এক আইনজীবী বলেন, শান্তিপ্রসাদসহ বেশ কয়েকজনের নিয়োগকর্তা রাজ্যপাল। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই মুখ্যসচিবের। তারপরেই বিচারপতি বাগচী সিবিআই আধিকারিকদের একহাত নেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, কেমন তদন্তকারী সংস্থা আপনারা।
আরোও পড়ুন : মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন?
পাশাপাশি বিচারপতির আরোও সংযোজন, গত দু বছর ধরে মুখ্যসচিব অনুমতি দিচ্ছেন না বলার পরে এখন কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে তাঁর অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ারই নেই? এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, ‘আইন অনুসারে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আবেদন মুখ্যসচিবের কাছেই পাঠাতে হবে। তিনি রাজ্যপালের কাছে সেই আবেদন পাঠাবেন।’
এরপর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে আদালত বলে, ‘মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে সুপারিশ করতে পারেন কি না তা তাঁকে জানাতে হবে।’ বিচারপতি জানান, এমনও হতে পারে, পদাধিকারবলে রাজ্যপাল এদের নিয়োগকর্তা হলেও বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি মুখ্যসচিবের হাতে ন্যস্ত থাকতে পারে। শেষ পর্যন্ত জানা যায়,আগামী ১১ জুন মামালার পরবর্তী শুনানিতে মুখ্যসচিবকে আদালতে তাঁর জবাব জানাতে হবে।