বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০। লকডাউন অবস্থা জারী হওয়ার মধ্যেও বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত ৬৬ বছর বয়সী ব্যাক্তি নয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা। ধীরে ধীরে করোনা থাবা বসাচ্ছে কলকাতায় (Kolkata)। লকডাউনের পরও কিছু কিছু মানুষের মধ্যে এখনও এর প্রভাব পড়েনি। বেলাগাম ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তায়। মানুষকে ঘরমুখী করতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ বাহিনী। করছে লাঠিচার্জ।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত মঙ্গলবার ২৩ মার্চ, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলে ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। এরপর পরীক্ষার নিরীক্ষার পর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে কিন্তু এই আক্রান্ত ব্যাক্তি বা তাঁর পরিবারের কেউ সম্প্রতি কোন করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে সফর করে ফেরেননি। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তির শরীরে কি ভাবে বাসা বাঁধল এই রোগ?
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারী তরফ থেকে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে পুরোপুরি বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। সর্বদা সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীদের সরিয়ে আনা হচ্ছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেখানে ইতিমধ্যেই ৩০০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং মেডিক্যাল কলেজের ৫ নম্বর গেটের নাম বর্তমানে রাখা হয়েছে ‘করোনা গেট’। এর পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি হল, অনুষ্ঠান বাড়ি এবং নবনির্মিত আবাসনও করোনা রোগীদের জন্য সরকারী তরফ থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এমনকি এই পরিস্থিতিতে বাংলার মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলিও ইডেন গার্ডেন্সকে সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ইডেন গার্ডেন্স নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট।প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ রাজারহাটের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে বিদশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানেই করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় করে তোলা হচ্ছে।