ভারতের এই গ্রামে প্রত্যেক পুরুষই করেন দু’টি করে বিয়ে, চমকে যাবেন অদ্ভুত কারণটি জেনে

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমগ্র বিশ্বজুড়েই এমন অনেক অদ্ভুত প্রথা রয়েছে যা আজও অনুসরণ করা হয়। তবে, শুধু বিশ্বেই নয়, বরং আমাদের দেশ ভারতেও এখনও এইরকম বহু প্রথার চল রয়েছে। তার মধ্যে এমন কিছু প্রথা রয়েছে যা বর্তমান যুগে রীতিমত বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই একজন পুরুষ কেবল একটিই বিবাহ করতে পারেন, এবং এই নিয়মই আমরা দেখতে অভ্যস্ত। এদিকে, আমাদের দেশে কোনো ব্যক্তি বিবাহ বিচ্ছেদ ছাড়া আবার পুনরায় বিয়ে করতে পারেন না। কারণ, বিচ্ছেদ ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে সম্পূর্ণরূপে “অবৈধ” বলে বিবেচিত হয়।

কিন্তু এই ভারতেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে দু’টি বিয়ে করা কার্যত বাধ্যতামূলক। হ্যাঁ, এটা জেনে অনেকেই আকাশ থেকে পড়লেও এটাই কিন্তু সত্যি! অদ্ভুত এই গ্রামটি রাজস্থানে অবস্থিত। এখানে বসবাসকারী প্রতিটি পুরুষই দু’টি বিয়ে করেন। এছাড়াও, এই গ্রামে, দু’টি বিয়ে করার জন্য পুরুষদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়না।

সবচেয়ে বড় কথা হল স্ত্রী’রাও এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এমনকি, তাঁরা একই বাড়িতে পরস্পর মিলমিশেই থাকেন। তবে, এর পেছনে রয়েছে এক অদ্ভুত নিয়মও।

গ্রামের বাসিন্দারা অবশ্য এই নিয়মকে “ঐতিহ্য” হিসেবেই মানেন। রাজস্থানের জয়সলমীরে অবস্থিত, রামদেও গ্রামে কথিত আছে এখানে কেবল একবার বিবাহ করলে সেক্ষত্রে স্ত্রী’রা গর্ভধারণ করতে পারেন না। যদিও, বা তাঁরা গর্ভধারণে সক্ষম হন সেক্ষেত্রে কেবল কন্যা সন্তানের জন্ম হতে থাকে। যে কারণে সেখানকার পুরুষরা ফের দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে করতে উদ্যত হন।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, প্রত্যেক পুরুষের দ্বিতীয় স্ত্রী শুধুমাত্র পুত্র সন্তানেরই জন্ম দিয়ে থাকেন। তাই বংশ বৃদ্ধির জন্য পুরুষদের পুনরায় বিয়ে করা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও, এই গ্রামে একজন পুরুষের দু’জন স্ত্রী নিজেদের বোনের মত জীবনযাপন করেন। পাশাপাশি, এই প্রথার কথা সবাই জানেনও। সম্ভবত সেই কারণেই প্রথম স্ত্রী, স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের বিরোধিতা করেন না।

যদিও, নতুন প্রজন্মের তরুণরা এই ঐতিহ্য একেবারেই পছন্দ করছেন না। তাঁদের মতে দু’টি বিয়ে করা সম্পূর্ণ অবৈধ। অনেকে আবার এই পন্থাকে পুরুষদের দ্বিতীয় বিয়ের জন্য একটি “অজুহাত” হিসেবেও মনে করেন। যদিও, ওই গ্রামটি তার অদ্ভুত ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। এমনকি, প্রশাসনও জানে এই গ্রামের রীতি-নীতির কথা। কিন্তু কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X