কংগ্রেস একটি, সিপিএম একটি! বাংলায় জোট শরিকদের ২টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস জোট? এমনটাই সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস যদি তৃণমূলের (TMC) হাত ধরে তাহলে তাদের দুটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে কিন্তু তার বেশি নয়। আর সেই দুই আসনের মধ্যে যদি কংগ্রেস (Congress) একটি সিপিএমকে (CPIM) দিতে চায়, তাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কোনও সমস্যা নেই।

উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সমস্ত জায়গায় এর আগে জোট হয়নি সেই রাজ্যে জোটের জন্য তিনটি মানদণ্ড বিরোধী দলগুলির সামনে রাখা হয়েছে। প্রথমত, গতবারের লোকসভার ফল। দ্বিতীয়ত, গতবারের বিধানসভা ভোটের ফল এবং তৃতীয়ত, গতবারের লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের ফল সমন্বয় করে দেখা। সেই সঙ্গে ঠিক হয়েছে যে রাজ্যে যারা শক্তিশালী তারাই জোটের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে।

এদিকে তৃণমূলের দাবি, এই তিনটি মানদণ্ডের বিচারে এটাই স্বাভাবিক যে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) তৃণমূলই আসন রফার ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে। যার ফলে এই তিন মানদণ্ডের বিচারে ভোটে বামেদের ফলের যে হাল তাতে তাদের কোনও আসন ছাড়ার প্রশ্নই উঠছে না। ফলে কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোন দিকে যাবে।

alliance

মূলত বিভিন্ন রাজ্যকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম, জম্মু-কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং বিহার। এই রাজ্যগুলিতে জোট আগে থেকেই হয়ে রয়েছে। যার ফলে শুধুমাত্র আলোচনা করে উনিশ-বিশ করলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, ছত্তীসগড়, হিমাচল প্রদেশ। এখানে কংগ্রেসের আধিপত্য রয়েছে, ফলে কংগ্রেসকেই সামনে রেখে বিরোধীরা ভোটে লড়বে। তৃতীয় ভাগে রয়েছে কেরল। এখানে কংগ্রেস এবং সিপিএম সম্মুখ সমরে লড়াই করে। ফলে এই রাজ্যকে রফার হিসেবের বাইরে রাখা হয়েছে। চতুর্থ ভাগে রয়েছে পঞ্জাব, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া এবং পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লি এবং পাঞ্জাবে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে কিছুটা টালবহানা চলবে। বাকিগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, তারা আগামী লোকসভা ভোটে ৩০টি আসন পাবে। তাই দুটি আসনের বেশি তারা বিরোধীপক্ষকে ছাড়তে চায় না। কিন্তু কংগ্রেসের হাইকমান্ড দুটি আসনে সন্তুষ্ট থাকলেও সিপিএম কী করবে এখন‌ সেটাই দেখার। অন্যদিকে, পঞ্চমভাগে থাকা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।

Monojit

সম্পর্কিত খবর