হাসিমারার আকাশে রাফাল যুদ্ধবিমান, চিনকে রুখতে মরিয়া ভারতীয় বায়ুসেনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চিনের সেনারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল অরুণাচল প্রদেশে তাওয়াং সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে। এরপর তাদের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় ভারতীয় জওয়ানরা। এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। নজরদারি থেকে বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষ প্রহরা চলছে উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলিতেও।

ভারত-চিন যখন একে অপরের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই হাসিমারার আকাশে দেখা মিলল রাফাল যুদ্ধবিমানের। এই সেনাঘাঁটিতে বিশেষ মহড়ার আয়োজন করা হয় এই দিন। গত শুক্রবার হাসিমারার আকাশে রাফাল যুদ্ধবিমানের দেখা পাওয়া যায়। শুক্রবার ছিল বাংলাদেশ বিজয় দিবস। যদিও এই বিমানের টহলদারি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় এলাকার মানুষজন।

বায়ু সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেষ রাফাল যুদ্ধবিমান এসে পৌঁছেছে ভারতে। ফরাসি সংস্থা দাঁসোর এই যুদ্ধ বিমান নির্মাণ করেছে। হাসিমারার সীমান্তে এদিন স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয় এই বিশেষ যুদ্ধবিমানটিকে। শক্তিশালী এই ফাইটার জেটকে স্যালুট জানানো হয় ওয়াটার ক্যাননের সাহায্যে। এই যুদ্ধবিমানটি রাখা থাকবে ইস্টার্ন কমান্ডের হাসিমারা এয়ারবেসে।

জানা গিয়েছে, এই নিয়ে মোট ৩৬ টি রাফাল ফ্রান্সের থেকে কিনল ভারত। এই যুদ্ধবিমান গুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে হরিয়ানার আম্বালা এবং বাংলার হাসিমারায়। কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে আম্বালা থেকে। অন্যদিকে, শত্রুকে বাগে আনতে হাসিমারা এয়ার বেসে প্রস্তুত রাখা হবে রাফালকে।

IMG 20200730 125905

বায়ু সেনার পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে সীমান্ত এলাকাগুলিতে যাতে নতুন করে সংঘর্ষ না ছড়ায়। একাধিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে চিন লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর। অরুণাচল সীমান্তর পাশাপাশি যুদ্ধ বিমান প্রস্তুত রয়েছে অসমের তেজপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারাতে। কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা যাচাই করার জন্য সামরিক মহড়া চালানো হতে পারে প্রতিটি বায়ুসেনা ঘাঁটিতেই।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর