বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে জোরকদমে চলছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০২৭ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যেই মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর ফলে মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ মাত্র ২ ঘন্টায় সফর করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে যে ২০২৭ সালে সুরাটে ৫০ কিলোমিটার অংশে প্রথম বুলেট ট্রেন চলাচল করবে। এটি বুলেট ট্রেনের প্রথম ধাপ। যা যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। রেলমন্ত্রী তাঁর অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, “এক্স”-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
জোরকদমে চলছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ:
মুম্বাইতে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) জন্য নির্মাণাধীন স্টেশনের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম বুলেট ট্রেনটি চলাচল শুরু করবে। ওই ট্রেন মুম্বাই এবং আহমেদাবাদের মধ্যে সফরের সময় কমিয়ে প্রায় ২ ঘন্টায় আনবে। পাশাপাশি, এই ট্রেনের চলাচল ওই দুই শহরের মধ্যে বাণিজ্যও সহজতর করবে।
With modern construction technologies, Bullet train project is progressing at a rapid pace.
📍Jefferies India Forum 2025 pic.twitter.com/aAPJimfgsq
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) September 18, 2025
স্টেশনটি ১০৬ ফুট গভীরে নির্মিত হচ্ছে: জানিয়ে রাখি যে, বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত মুম্বাই বুলেট ট্রেন (Bullet Train) স্টেশনটি মুম্বাই-আহমেদাবাদ এইচএসআর করিডোরের একমাত্র ভূগর্ভস্থ স্টেশন। ভূগর্ভস্থ স্তর থেকে ৩২.৫০ মিটার (প্রায় ১০৬ ফুট) গভীরে খনন কাজ চলছে। যেটি একটি ১০ তলা ভবনের সমতুল্য। প্ল্যাটফর্মটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৬ মিটার গভীরে তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে প্ল্যাটফর্ম, কনকোর্স এবং সার্ভিস ফ্লোর সহ ৩ টি তলা থাকবে।
স্টেশনটিতে ৬ টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে: এই রুটের সমস্ত স্টেশনে (Bullet Train) ৬ টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম প্রায় ৪১৫ মিটার লম্বা হবে। এদিকে, মুম্বাই স্টেশনটি মেট্রো লাইন এবং সড়কপথে সংযুক্ত থাকবে। এই স্টেশনে ২ টি প্রবেশপথ এবং ২ টি প্রস্থানপথ নির্মাণের পরিকল্পনাও চলছে। একটি মেট্রো লাইন ২ বি-তে সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের সুবিধা প্রদান করবে এবং অন্যটি এমটিএনএল ভবনের দিকে যাবে।
আরও পড়ুন: করমর্দন বিতর্কে সব সীমা ছাড়াল পাকিস্তান! নিজেই করল নিয়ম লঙ্ঘন, এবার অ্যাকশনে ICC
যাত্রীরা স্টেশনে সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন: উল্লেখ্য যে, যাত্রীদের চলাচল এবং সুযোগ-সুবিধার জন্য কনকোর্স এবং প্ল্যাটফর্ম পর্যায়ে পর্যাপ্ত স্থান প্রদানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাকৃতিক আলোর জন্য একটি স্কাইলাইটও উপলব্ধ করা হয়েছে। স্টেশনে (Bullet Train) আগত যাত্রীদের প্রতিটি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থাৎ, স্টেশনে যাত্রীরা কোনও সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।