বাংলা হান্ট ডেস্কঃ য়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে ভারত ছেড়ে পালিয়ে একটি দ্বীপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র। এবার সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠালেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন, আর সেই টুইটকে কেন্দ্র করেই আইনজীবীর মাধ্যমে বিরোধী দলনেতাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন বিনয়বাবু। শুভেন্দু অধিকারী বিনয় মিশ্রের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি টুইট করে লেখেন, সম্ভবত ২০১৮ সালেই ভানুতুর নাগরিকত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন বিনয় মিশ্র। এরপর ২০২০ সালে তৃণমূল তাঁকে যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক করে। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তোলেন, একজন বিদেশী নাগরিক কীভাবে একটি দলের সদস্য হতে পারে?
শুভেন্দুর ওই টুইটের পর বিনয় মিশ্রর আইনজীবী দাবি করেন, ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন ওনার মক্কেল। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তৃণমূল ওনাকে ২০২০ সালের ২৩ জুলাই দলের যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক করে। ওনাকে যখন দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন তিনি ভারতীয় নাগরিকই ছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর উনি পাসপোর্ট সারেন্ডার করেন। তবে এর আগেই তিনি তৃণমূলের পদ ছেড়েছিলেন বলে দাবি করেন বিনয়বাবুর আইনজীবী।
https://twitter.com/SuvenduWB/status/1403235878072246273
বিনয়বাবুর আইনজীবী দাবি করেন যে, ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভারতীয় পাসপোর্ট পান তিনি। আর সেই সময় তিনি ভারত ছাড়া আর কোনও দেশের নাগরিক ছিলেন না।
বিনয়বাবু দাবি করেছেন যে, ভুয়ো টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সাদামাটা ইমেজে কালি লাগানোর চেষ্টা করছেন। ওনাকে নিয়ে এভাবেই সাধারণ মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। বিনয়বাবু টুইটটি এখনি মুছে ফেলার দাবি করেছেন। আর টুইট না মুছলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও, শুভেন্দু অধিকারী এখনও টুইটটি মোছেননি।