বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তালিকায় জুড়লো বাংলা! ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার পর এবার খাস কলকাতায় (Kolkata) আয়কর হানা (Income Tax Raid)। গত পাঁচ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ (Jharkhand MP) ধীরজ সাহুর (Congress MP’ Dheeraj Sahu) বাড়ি ও গুদামে ৬ দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও জারি তল্লাশি। ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে টাকার অংক। ‘ঐতিহাসিক’ এই ঘটনা নিয়ে যখন গোটা দেশ জুড়ে শোরগোল এরই মাঝে কলকাতায় হানা দিল আয়কর দফতর।
সোমবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার এক অভিজাত আবাসনে হানা দেন আয়কর আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, বিদেশি মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। ওদিকে জানা যাচ্ছে, যার বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদে ছিলেন। এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল।
যদিও কেন এই আয়কর হানা এই নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানায় নি দপ্তর। সোমবার প্রাক্তন আইএফএ বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান। ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে মদের ব্যবসায় আর্থিক বেনিয়মের সূত্র ধরেই এই আয়কর হানা।
প্রসঙ্গত, প্রথমে ওড়িশার একটি বড় মদ কারখানা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধার করে আয়কর দপ্তর। সেই অর্থের সূত্র ধরেই কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর নাম উঠে আসে। তারপরের ঘটনা সকলের জানা। যখের ধনের হদিস বললে ভুল হবে না।
আরও পড়ুন: ‘সিন্ডিকেট থেকে ২৫০-৩০০ কোটি মমতার’, ফের সক্রিয় কয়লা কেলেঙ্কারি, ভিডিও পোস্ট করে বিস্ফোরক শুভেন্দু
প্রায় ৪ ফুট চওড়া আলমারিতে থরে থরে সাজানো টাকা। সোমবারও সেই টাকা গোণা শেষ হয়নি। এমনই টাকার বহর যে সাংসদের বাড়ির টাকা গুনতে গিয়ে বিকল হয়ে যায় টাকা গোনার মেশিন। সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি ও অফিস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। আরও বেশ কয়েকটি আলমারির লকারে তল্লাশি এখনও বাকি রয়েছে।
সাংসদের বাড়ির আলমারি এবং গুদামের লকারে ঠাসা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা গুনতে গিয়ে কার্যত নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। ১৭৬টি ব্যাগে ভরে ওডিশার বলঙ্গির, সম্বলপুর এবং তিতলাগড়ের তিনটি SBI ব্র্রাঞ্চে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ করে চলেছে টাকা গোনার কাজ। টাকা গুনতে মোট ৪০টি মেশিন আনা হয়েছিল। ৯টি দল টানা ৫ দিন ধরে টাকা গোনার কাজ করে চলেছে। যেই দলে ২৪ জন আধিকারিক সহ ব্যাঙ্ক ও পুলিশকর্মীরা রয়েছেন। সোমবার শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও চলছে টাকা গোনার কাজ। এরই মধ্যে বাংলায় আয়কর হানা নিয়ে জোড়ালো হচ্ছে জল্পনা।