বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (india) আর ইজরায়েল (Israel) মিলে এবার অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র বানানোর জন্য বড় পরিকল্পনা নিয়েছে। মোদী সরকার (Modi Sarkar) এখন মিত্র দেশগুলিতে অস্ত্র রফতানি করার জন্য বিস্তৃত প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে চলেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব এবং তার ইজারেয়েলি সমকক্ষের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের অধীনে এ জাতীয় যৌথ প্রকল্পগুলির প্রচারের জন্য একটি নতুন উপ-গ্রুপ গঠন করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা (এসডাব্লুজি) সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপের মূল লক্ষ্য হবে তৃতীয় দেশগুলিতে প্রযুক্তি, সহ-বিকাশ ও সম-উত্পাদন, প্রযুক্তি সুরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, উদ্ভাবন এবং যৌথ রফতানি।
ইজরায়েল প্রায় দুই দশক ধরে ভারতে শীর্ষ চার হাতিয়ার রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে একটি। ইজরায়েল থেকে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক অস্ত্র ক্রয় করে ভারত। এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্প এবার মজবুত হওয়ার সাথে সাথেই উভয় দেশের জন্য আরও গবেষণা ও উন্নয়ন, সহ-উন্নয়ন এবং সহ-উত্পাদন প্রকল্প প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে।”
উনি বলেন, ইজারায়েল মিসাইল, সেন্সর, সাইবার সুরক্ষা আর বিভিন্ন প্রতিরক্ষা উপ-প্রণালী গুলোর মধ্যে বিশ্ব নেতা।” SWG এর নেতৃত্ব ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয়ের সংযুক্ত সচিব সঞ্জয় জাজু করবেন। দুই দেশের মধ্যে এই পদক্ষেপ এমন সময় নেওয়া হচ্ছে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যখন ডিআরডিও-ইজরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (IAI) প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী প্রজন্মের বারাক -২ পৃষ্ঠ-থেকে-বায়ু ক্ষেপণাস্ত্রকে ৩০,০০০ কোটি টাকারও পরিযোজনা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত করছে।
ভারতীয় কোম্পানির সাথে IAI, রাফেল অ্যাডভান্স ডিফেন্স সিস্টেম, এলবিট আর এল্টা সিস্টেমের মতো ইজরায়েলি কোম্পানি গুলো সাততি সংযুক্ত যোজনা বানিয়েছে। উদাহরণের জন্য বৃহস্পতিবার একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘর্ষের সময় ইজরায়েল ভারতে জরুরী অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোর পরে যে গোপনীয় দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছিল, ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বড় আকারে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা