বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জারি রাখতে এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে, তাদের মধ্যেকার শেখর সম্মেলনের প্রস্তুতি সারলেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর এবং মজবুত করে তুলতে কোন দেশই কোনরকম খামতি রাখতে নারাজ। ভারতের মতো বাংলাদেশও এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইছে না।
ভারতের কাছে বাংলাদেশের দাবি
এই বৈঠকে ভারতের কাছে কয়েকটি দাবি পেশ করেছে বাংলাদেশ। এমনকি সেই চাহিদা দাবির ঝুড়ি পেশ করেছে বাংলাদেশ। তাদের এক অন্যতম দাবি হল, ভারত যখন যখন পেঁয়াজ জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে, তা আগে থাকতে যেন ঢাকাকে একটু জানিয়ে রাখে। তাহলে প্রয়োজনে তারা অন্য ব্যবস্থা করে রাখবে।
এছাড়া বাংলাদেশের অপর একটি দাবি হল, বাংলাদেশী কোম্পানিদের ভারতে প্রবেশের প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং সম্মতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা জিনিসগুলোকে ভারতের বাজারে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে চিকিৎসা সংক্রান্ত ভিসা এবং অন্যান্য খাতেও যেন ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। শরনার্থীদের নিয়েও আলোচনা হয়।
ভারতের সাহায্যপ্রার্থী বাংলাদেশ
আসন্ন ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ভারত সংযুক্ত রাষ্ট্র সুরক্ষা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ পেতে চলেছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল্লাহ মেমেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি শরণার্থীদের মায়নমার পাঠাতে সাহায্য করবে। এবিষয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ভারতও এটাই চায়’।
প্রসঙ্গত, এই বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই সকল বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি, তিস্তা নদীর জলবন্টন এবং করোনা ভাইরাসের বিষয়েও আলোচনা হয়।
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে